Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পাবনার তিন স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাবনা

পাবনার তিন স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান

পাবনা শহরের পৌর এলাকার বিআরটিসি ডিপোতে ও এক ব্যক্তির বাড়িতে ডেঙ্গু জীবানুবাহী এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। 

খবরটি পাওয়ার পরপরই বুধবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপনীয়তার সাথে তড়িঘড়ি করে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের গঠিত ৫ সদস্যের অনুসন্ধান টিম এডিসের লার্ভার ঘটনাস্থলে গিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। 

শহরের ৩০টি স্থানে অনুসন্ধান করে তিনটি স্থানে এডিস লার্ভার অসস্তিত্ব পাওয়া গেছে। 

বিআরটিসি ডিপোর পরিত্যক্ত গাড়ীর টায়ারে এবং জনৈক ব্যক্তির বাড়ির ছাদের উপর জমে থাকা পানিতে এই এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পান। 

খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শহরসহ পুরো জেলায় ডেঙ্গু আতংক নতুন করে দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে নতুন করেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শহরের বিভিন্ন 
স্থানে তন্নতন্ত করে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান কার্যক্রম চলছে। 

জানা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জুলাই মাসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবী করেন, আক্রান্ত রোগীরা ঢাকা থেকে এই ডেঙ্গু রোগ বহন করে এসেছেন। 

সবশেষ জুলাই মাসের শেষের দিকে পাবনা সদরের মনোহরপুর গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রঞ্জু মালিথা গণমাধ্যমে জানান, তিনি গেল ৪ মাসে পাবনা থেকে কোথাও যাননি। অথচ তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। 

এমনি ভাবে হাসপাতালে সবশেষ ৩৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন পাবনা ছেড়ে কোথাও যাননি। 

এমন প্রশ্নে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আনান বলেন, রোগীরা ঢাকায় আক্রান্ত এবং এডিস মশা ট্রাভেলর হিসেবে আসতে পারে। পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল দাবী করেন, ডেঙ্গু মহামারি হলেও তার কার্যালয়ের কীটতত্ববীদ টিম পাবনায় কোন এডিস মশা বা লার্ভার অস্তিত পাননি। 

বুধবার বিকেলে বিষয়টি গোপনীয়তার সাথেই হ্যান্ডেলিং করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। 
এক প্রতিক্রিয়ায় সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সম্মিলিত ভাবেই এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যে কোনো মুহুর্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাড়া মহল্লায় নামানো হবে। 

বাড়ির মালিকরা নিজ উদ্যোগে তাঁদের-বাড়ি-ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ছাদে জমে থাকা পানি অপসারণ না করলে তাদের তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে জরিমানা করা হতে পারে। 

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত জানান, গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন। আর সুস্থ হয়ে গেল ২৪ ঘন্টায় বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। এ নিয়ে হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর