Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

দুর্গাপুরের অসহায় তোফাজ্জলের কথা নেত্রকোনা

দুর্গাপুরের অসহায় তোফাজ্জলের কথা

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার মধ্যমবাগান এলাকার তোফাজ্জল মিয়া‘র (৪৯) এক হাত না থাকলেও জীবন যুদ্ধে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন এমনটাই বল্লেন তিনি।

জীবনের গল্পনিয়ে শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, নিজে ভুমিহীন হলেও এক হাত নিয়ে সামান্য দোকান করে খেয়ে না খেয়ে বসবাস করছেন তোফাজ্জল। ছোট বেলায় এক দুর্ঘটনায় তাঁর বাম হাত কেটে ফেলতে হয়। অনেক কষ্ট করে কাঁধে বোঝা নিয়ে এলাকার কাছের হাট বাজার গুলোতে ছোট দোকান করে সংসার চালান তিনি। সংসার জীবনে স্ত্রী, দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছেন তাঁর। মেয়েদের বিয়ে দিলেও ছেলে তামিম কে লেখা পড়া শেখাতে চান তিনি। এক হাত না থাকলে কি হবে এ নিয়েই ভোর হতেই ছুটে চলেল এ বাজার থেকে ও বাজারে। তাঁর স্বপ্ন ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহায়তা করতে বলবেন। তিনি নিজে লেখাপড়া না জানলে মেধাবী করে তলছেন ছেলে তামিম কে। সে স্থানীয় ১টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। তোফাজ্জলের এক হাতে দোকানের মালামাল টানতে প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হলেও এখন সয়ে গেছে জীবনের সাথে। 

তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার লাইগ্যা কোন সাহায্য চাইনা, আপনেরা আমার লাইগ্যা দোয়া কইরেন, এইতো আর কয়ডা দিন, পোলা লেহাপড়া শেষ করলেইতো তো আমার চিন্তা শেষ’’। এ পর্যন্ত বয়স্ত ভাতা বা সরকারী কোন সহায়তা পায়নি তবুও সংসার জীবেন পিছু হটেননি তিনি। তাঁর দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা যদি কোন পন্য কিনে তবে, অন্যান্যদের চেয়ে কম মুল্য রাখেন তোফাজ্জল মিয়া। 

এ নিয়ে বাজার কমিটির সদস্য এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা তাঁকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে চাইলেও তিনি কোন সাহায্য গ্রহন করে না। তিনি বলে কাজ করে খাওয়ার মাঝে খুবই আনন্দ। আপনারা আমায় কোন সহায়তা না করে আমার দোকান থেকে পন্য ক্রয় করলেই আমি খুশি। অসহায় তোফাজ্জল মিয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষা গ্রহনের আহবান জানান।