বড়াইগ্রামে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফুপা কর্তৃক ধর্ষিত নারী ও শিশু /  নাটোর / 
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাত্র ১৩ বছর বয়সী ভাতিজি তার আপন পঞ্চাশোর্ধ বয়সী ফুপা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনার পর ২ স্ত্রীর স্বামী ও ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক ফুপা স্বপরিবারে গা-ঢাকা দিয়েছে। এদিকে ধর্ষিতার পরিবার অতি গরীব হওয়ায় মামলার প্রক্রিয়ায় যেতে অপারগতা স্বীকার করায় গ্রাম প্রধানেরা ঘটনাটি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুর ২ টার দিকে সরেজমিনে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির সাথে কথা হয়। এ সময় অভিযুক্ত আপন ফুপা উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব বাহিমালী গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে গোলবার হোসেন (৫২) এর বাড়ি গেলে সেখানে বাড়ি-ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার পর গোলবার স্বপরিবারে গা-ঢাকা দিয়েছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানান, বাহিমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। রমজান মাসের ৪র্থ দিনে তারাবী নামাজের পর সে বাড়ির পাশে ফুপুর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিভি দেখে ঘরে ফেরার সময় তার ফুপা পেছন পেছন আসে। সে ঘরের ভিতর ঢোকার সময় ফুপাও আচমকা ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে মুখ চেপে, গলায় টিপ দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক র্ধষণ করে। এ সময় তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না এবং মা পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলো। ধর্ষণের সময় ধস্তাধস্তি ও কান্নার শব্দ পেয়ে মা হাতে-নাতে ধর্ষক ফুপাকে আটক করে। তবে এ সময় ধর্ষক গোলবার এ ঘটনা কাউকে জানালে মা-মেয়ে ও বাবাকে গুলি করে হত্যা করবে বলে হুমকী দেয়। পরেরদিন গোলবারের স্ত্রী ফুপু রেহেনা বেগমকে তার মা ঘটনাটি বললে তিনিও এসব বিষয় কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তার বড় চাচা ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা রাখতে বাবাকে নির্দেশ দেয় এবং ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু এক মাসের অধিক সময় পার হওয়ার পরেও কোন বিচার না পেয়ে তার বাবা স্থানীয় গ্রাম প্রধানের কাছে বিচার দাবি করে। গ্রাম প্রধানেরা এ ব্যাপারে থানায় যেতে বললে টাকার অভাবে মেয়েটির বাবা থানায় যেতে অপরাগতা স্বীকার করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর মেয়েটি আর স্কুলে যাচ্ছে না এমনকি বাড়িতেও থাকছে না। মেয়েটি পার্শ্ববর্তী এক সমাজ সেবিকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অপরাগতা স্বীকার করায় ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সুরাহা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।