Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

চট্টগ্রামে স্বর্ণ মেলা উদ্বোধনে মেয়র

স্বর্ণ ব্যবসার বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার চট্টগ্রাম

স্বর্ণ ব্যবসার বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন,  স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। হতাশা  ও আক্ষেপ ছিল। তারা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এই সরকার জনবান্ধব ও কণ্যাণমুখি সরকার ।  জনগণের কল্যাণ করাই এই সরকারে উদ্দেশ্যে। তাই জনগণের  সুবিধা অসুবিধা চিন্তা করে স্বর্ণ ব্যবসার বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র। গতকাল রোববার সকালে নগরীর আগ্রাবাদস্থ পেলিক্যান মেহজাবিন ভবণে তিনদিন ব্যাপি স্বর্ণমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই সময়ের মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীগণকে অঘোষিত ও মজুতকৃত স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের ঘোষনা ও এর বিপরীতে কর পরিশোধ সুযোগ দেয়া হয়েছে। মেলার এই  তিন দিন ছাড়াও ৩০ জুন পর্যন্ত কর অঞ্চলে ঘোষণা দিতে পারবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এই উপলক্ষে আয়কর বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আগ্রাবাদ পেলিক্যান মেহজাবিন ভবণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বর্ণমেলা ২০১৯ আয়োজন কমিটির আহবায়ক কর কমিশনার জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবি সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সভাপতি মৃনাল কান্তি ধর, হেলাল উদ্দীন সিকদার, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। মেলায় রয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায় জড়িত নতুন করদাতাদের ইটিআইএন প্রদান, চট্টগ্রামের প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য পৃথক বুথে ঘোষণা ফরম গ্রহণ, আয়কর পরিশোধের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বুথ ও পরামর্শ কেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। 

মেয়র বলেন, দেশের অর্থনীতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিরাট অবদান রয়েছে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কর  দিয়ে আগামীতেও দেশ উন্নয়নে সামিল হোন । তবে কর দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়েছে, এমন ব্যবসায়ী আমার জানা নেই । এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন করের টাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করের টাকা দেশের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে বলে দেশ আজ সমৃদ্ধশালী । সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। ব্যবসায়ী মহল ভাল করে জানেন ,দেশের পাসপোর্টের সম্মান বেড়েছে । এখন আগেকার মতো ইমেগ্রশনে পাসপোর্টধারীদের হয়রানি করা হয় না। দেশের ভাতমুর্তি অনেকগুণ বেড়েছে।
 
জাতীয়  রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক নয় - এ বার্তা নিয়ে এসেছি। দেশের রাজস্বের সিংহভাগ রাজস্ব যোগানদাতা হচ্ছে এই চট্টগ্রাম। ২০০৫ সালে যে চট্টগ্রাম দেখে গেছি তার থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ফ্লাইওভার হয়েছে। এখন সৌন্দর্য মন্ডিত ও নয়নাভিরাম চট্টগ্রাম। আবহমানকাল থেকে মানুষের দুর্দিনের সঞ্চয় ছিল স্বর্ণ। বংশ পরম্পরায় স্বর্ণের ব্যবসা চলে আসছে। বর্তমান সরকার স্বর্ণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটাই ব্যবসায়ীদের বড় সুযোগ, বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করার। মূল স্রোতধারায় আসার। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, স্বর্ণ নীতিমালার কারণে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবে না।

মৃণাল কান্তি ধর বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আয়কর, রাজস্ব, চসিকের ট্রেড লাইসেন্স ফি, ডিলিং লাইসেন্স ফি দেওয়ার পরও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়ছেন। চট্টগ্রাম নগরে ৫ হাজার ২০০ জুয়েলারি দোকান। এর মধ্যে বৈধ ১ হাজার ৭০০টি। যারা ট্যাক্সের আওতায় নেই তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস মৃণাল কান্তি ধরের।