মোরেলগঞ্জ বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্ধলক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বাগেরহাট / 
বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের দুই ব্যাক্তির কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার কথা বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার অর্ধলক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার যার স্মারক নং-২৭.১২.০১৬০.৫৫৯.১৯.১০০.১৯.২১৩ তারিখ-২৫/৫/২০১৯ ইং এর স্বাক্ষরীত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন জানা গেছে, ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের জনৈক ইদ্রিস হাওলাদার ও শফিকুর রহমান এর কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার কথা বলে সম্পূর্ন অবৈধ, দালালি ও প্রতারনার মাধ্যমে ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উক্ত নাসির হাওলাদার কখনও নিজেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রীর আত্মীয়, বাপবিবোর্ডে এর চেয়ারম্যান মহোদয়ের বিশেষ পরিচিত ব্যাক্তি বলে নিজেকে দাবী করে বিভিন্ন স্থানে প্রচার করে বেড়ান এবং গ্রামের সহজ সরল ব্যাক্তিদেরকে প্রতারনা, দালালি ও দূর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার গত ২০/০৫/২০১৯ ইং তারিখ বাপবিবোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট জনৈক ইদ্রিস আলী নামে (এই নম্বর-০১৭২৮-৬৪১০৬৬) থেকে ভূয়া পরিচয় দিয়ে দুই জনার বিদ্যুৎ দেবার জন্য অনুরোধ করেন।
উক্ত প্রতিবেদনে ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার এর বিরুদ্ধে বর্নিত অপকর্মের কারনে পুন: তদন্ত করত বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার অভিযোগের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের জনৈক ইদ্রিস হাওলাদার ও শফিকুর রহমান এর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যাতা পেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে শাস্তি মূলক ব্যস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদন প্রেরন করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার নন্দী বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ হয়েছে। আমাকে অনুলিপি দিয়ে আবহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: করির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যস্থা গ্রহনের প্রকৃয়াধীন রয়েছে।