কামাল বারি’র ‘প্রেমের কবিতা’ শিল্প ও সাহিত্য / 
সেদিন তারে তুমি
তুমি কি চিরবিরহী ডাহুকী
প্রিয় ডাহুককে হারিয়েছো
আর পাগলের মতো তারে
খুঁজে মরছো জলাভূমি জুড়ে!
কোনও ঘন বর্ষায় ‘কোয়াক’
ডাকে পুরুষ জাগবে তোমার
ডাহুকী, সেদিন তারে তুমি
কীভাবে ডেকে নেবে ঘরে?
*************
প্রেম
যতক্ষণ অন্ধ থাকি
ততক্ষণ প্রেমের শত আয়োজনে মুগ্ধ দু’জন!
যে-ই চোখ খুলি - দুটি হিসেবের খাতা পড়ে থাকে চোখের সামনে!
খুব দুঃখ হয় - খাতা দুটি আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই!
*******************
নির্জনে বৃক্ষের গানে
নিবিড় বৃক্ষের সাথে চলে গেছি সবুজে সবুজে;
নির্জনে বৃক্ষের গানে তার সাথে কথা হয়েছে;
সেই সুদূরিকা মায়া সংলাপে বেঁধেছে আমায়!
আহা, যেদিকে তাকাই আমি দেখি তার রূপ;
নিসর্গের নগ্ন সুন্দরে সর্বত্র দেখি, ‘দেবীমুখ’...!
হায়, আমি তো একাকী বেরিয়েছি নিসর্গে-
...সাথে ছিলো অয়ি অদ্ভুত সুন্দরী পক্ষিণী!
*******************
একজন আছে
একজন আছে - তার কাছে
ভালোবাসার কথা বলতেই
ভয়ে সে দেশ ছেড়ে যায়...!
কর্পূরের মতো উড়ে চলে যায়
সে প্রেমের কোনও কথা শুনলে!
তার সাথে কোনও দিন দেখা হবে না;
তার সাথে সম্ভব নয় নেপাল ভ্রমণ...।
************
হায়, জলময়ূরী
হায়, জলময়ূরীর ঘর...!
প্রণয় শেষে - জল ছোড়া-ছুড়ি শেষে
জুটিবদ্ধ ঘর নির্মাণ...
তারপর স্মারক স্বাক্ষর রেখে
কী দারুণ উড়ে পালানো, দূরে!
*************
আবার কবে দেখা হবে
তোমার আমার আবার কবে দেখা হবে?
আপন সুরে সুরে উড়ে উড়ে মুনিয়ার শরীরে
আমার গাঘেঁষে বসবে তুমি!
আমার তো কথা শেষ হয় না তোমার সাথে!
তোমার এতো ঘ্রাণের পুষ্পরেণু
ভুরভুর করে আমার চারপাশে!
**************
মেনকারূপ
আমি ঘুমাতে চাই না
আমি ঘুমাতে যাই না
চোখের পাতা অবাধ্য হয়ে
মিশে যেতে চাইলে
মেনকার হাসিমুখ
ইশারায় আমাকে ফেরাতো
বাতাস তখনই বয়ে যেতো তার শরীরে
অরূপ নগ্নিকার শরীরে তখন কামনার ভাঁজ! অনিন্দ্য কারুকাজ!
আনন্দ গমনের শত পথ তখন স্বাগত গানে সুর মূর্ছনায় সুপ্রস্তুত!