ফাজিলপুরে নদীতে চাদাঁবাজির সময় দুই চাঁদাবাজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ / 
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর বিন্নাকুলী এলাকার নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বালুভর্তি বলগেট নৌকায় চাদাঁবাজির সময় দুই চাদাবাজঁকে আটক করে এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে আটককৃত দুই চাদাঁবাজের বয়স কম থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, কাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ মিয়া ও একই গ্রামেরজাহিদ মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া।
বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মমতাসির হাসানের নেতৃত্বে ফাজিলপুর ও বিন্নাকুলি এলাকায় নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে এই দুই চাদাঁবাজকে আটক করা হয় এবং বয়স কম থাকায় তাদের পরবর্তীতে আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তাদের আগামীতে নদীতে নৌকায় চাদাঁবাজি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মমতাসির হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান কেহ নদীতে চাদাঁবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর হতে আনোয়ারপুর পর্যন্ত এক কিলোঃ এলাকাজুড়ে চলতি বছরের চৈত্রমাসে সরকার থেকে ৪৫ লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা নেন ফাজিলপুর গ্রামের রাজাহাসের ছেলে মোঃ কাশেম মিয়া। সরকারের নিার্ধরিত প্রতি বলহেট নৌকা হতে আড়াই শত থেকে তিনশত টাকা করে টোল আমাদেয়র নিদিষ্ট তালিকা দেয়া হলে ও তা মানছেন না ইজারাদার ও তার লোকজন। ফলে প্রতিনিয়ত ইজারদার মোঃ কাশেম মিয়া, তার সহোদর মোঃ ফয়সল আহমেদ, রহম মিয়া, সেলিম মিয়া ও দক্ষিণকূল গ্রামের নবার মিয়ার ছেলে সারোয়ার মিয়ার ও তার সহোদর জাকারিন মিয়া গংরা প্রতিদিন এই ঢোল আদায়কারী চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ফাজিরুপুর এলাকায় নদীতে প্রতিদিন বালু ও পাথর বোঝাই নৌকা ও বলগেটগুলো আটকিয়ে সরকারের নির্ধারিত ঢোল আদায়ের চেয়ে প্রতি নৌকা হতে (কয়েকগুন) বেশী আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।