Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মাহে রমজানে পবিস’র কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল নীলফামারী

মাহে রমজানে পবিস’র কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

আপেল বসুনীয়া, নীলফামারী : পবিত্র মাহে রমজানে নীলফামারীর গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
 
রমজান মাসকে ‘বিশেষ সেবা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করে ২৪ঘন্টাই জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ২লাখ ৬৪হাজার ৩০৩জন গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাৎক্ষনিক ভাবে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চলছে আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসুচী। 

নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি(পবিস) সুত্র জানায়, সমিতির আওতায় ১০টি অভিযোগ কেন্দ্র সার্বক্ষনিক খোলা রাখা হয়েছে আর কেন্দ্রগুলো সমিতি থেকে এবং সদর দফতর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সবসময়। 

বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য ইফতার, তারাবিহ এবং সেহরির সময়কে বিশেষ প্রাধাণ্য দেয়া হয়েছে। কোথাও থেকে কোন অভিযোগ আসলে ৫মিনিটের মধ্যে আলোর ফেরিওয়ালা সেখানে পৌঁছে সমাধান করে দিচ্ছে। 

নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মতিউর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনের জন্য ৩টি শিফটে আলোর ফেরিওয়ালা কাজ করছে। এছাড়া মজুদ রাখা হয়েছে ট্রান্সফরমার, মিটার, তার সরঞ্জমাদীসহ অন্যান্য সামগ্রী। 

তিনি জানান, জেলায় সমিতির আওতায় ৫১৫৬কিলোমিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প কলকারখানাসহ ২লাখ ৬৪হাজার ৩০৩জন গ্রাহক রয়েছেন। 

তিনি জানান, আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে গেল জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত ৫৮৯৯জন গ্রাহককে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এ কর্মসুচী চলতে থাকবে। জেলায় চাহিদার ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই বলে কোথাও লোডসেডিংও হচ্ছে না বলে জানান তিনি। 

নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক প্রামানিক বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া। এজন্য আমরা ২৪ঘন্টায় কাজ করছি। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সবার। 

তিনি জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পবিত্র মাহে রমজানকে ‘বিশেষ সেবা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করে গ্রাহকের জন্য সার্বক্ষনিক সেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছে যা গোটা দেশে বিরাজমান। 

সমিতি সুত্র জানায়, জেলায় ১০টি অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো নীলফামারী সদর দফতর, হাজীগঞ্জ, ডোমার জোনাল, চিলাহাটি, ডিমলা এরিয়া, গয়াবাড়ি, জলঢাকা সাব জোনাল, মীরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল ও টেপারহাট অভিযোগ কেন্দ্র।