বাগেরহাটে একটি পুলের জন্য দুই ইউনিয়নের ছাত্র-জনতা চরম দূর্ভোগে! বাগেরহাট / 
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ও তেলীগাতি দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খালের জরাজীর্ন একটি পুলের জন্য দুই ইউনিয়নের সাধরন মানুষ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চকরণ ইউনিয়নের উত্তর কুমারিয়াজোলা গ্রাম ও তেলীগাতি ইউনিয়নের হেড়মা বাজার সহ দু’ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ কাঠের পুলটি। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে দু’ গ্রামের বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় । কোন ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধে এ পুলটি নির্মিত হবে এ নিয়ে চলছে দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের টানাপোড়েন। আর এ কারনে পুলটি নির্মানে দীর্ঘ সূত্রিতার কারন বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এ বিষয়ে কথা হয় এইচ কে মিস্ত্রী ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল কুমার হাজড়া ও উত্তর কুমারিয়াজোলা গ্র্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনাধি মল্লিকের সাথে। তারা বলেন এ ঝুঁকিপূর্ন পুলটি থেকে প্রতিদিন শিক্ষার্থী সহ তিন চার হাজার মানুষ পারাপার হয়। পথচারি সুনিল কবিরাজ, সেলমান শেখ, সরোয়ার হোসেন হাওলাদার একাধিক পথচারিরা এখানে কালভার্ট নির্মাণের দাবী জানান।
পুলটির একপাড়ের তেলীগাতি ইউনিয়নের সুরেন্দ্র নাথ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়, জনশক্তি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও অপরপ্রান্তে পঞ্চকরন ইউনিয়নের পাঁচগাও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হেড়মা বাজার, মসজিদ ৩টি, মন্দির ৩টি সহ একাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তা সত্ত্বেও এ পুলটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণভাবে পড়ে রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছোট ছোট স্কুল শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় এ পুলটি।
এ বিষয়ে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, হেড়মা ও কুমারিয়াজোলা সীমান্তবর্তী পুলটি ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। কালভার্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিতভাবে আবেদন করা হয়ছে।
তেলীগাতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, দু’টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এ পুলটি তেলীগাতি ইউনিয়নের আওতায় নয়। পুলটি পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আওতায় পড়েছে সেক্ষেত্রে ওই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধেই মেরামত করার কথা।