Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

এলাকার পাগল জড়ো করে পাঠানো হচ্ছে অনত্র

পাইকগাছায় ছেলে ধরা আতঙ্ক দূর করতে এলাকায় থানা পুলিশের মাইকিং খুলনা

পাইকগাছায় ছেলে ধরা আতঙ্ক দূর করতে এলাকায় থানা পুলিশের মাইকিং

পাইকগাছায় বোরকা পার্টি ও ছেলে ধরা আতঙ্ক প্রকট আকার ধারণ করায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আতঙ্ক কাঁটতে এটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয় উলে­খ করে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যত পাগল আছে সব পাগল জড়ো করে তাদেরকে অনত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ। এদিকে গুজবকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত মহিলাকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় দুই থেকে  তিন শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। 

সূত্রমতে, গত কয়েকদিন যাবৎ এলাকার সর্বত্রই বোরকা পার্টি ও ছেলে ধরা আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৌর সদর সহ উপজেলার প্রতিটি প্রান্তে এলাকাবাসী রাতে লাঠি সোটা নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা বসিয়েছে। পুলিশ বোরকা পার্টি ও  ছেলে ধরা বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। এরপরও কিছু কিছু মানুষ নানা বিভ্রান্তমূলক গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন সিলেমানপুর এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী অজ্ঞাত এক মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর জখম করে। থানা পুলিশের চেষ্টায় অজ্ঞাত ওই মহিলাকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার শারীরিক অবস্থা এখনো আশংকা জনক। এ ঘটনায় তিন শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামী করে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। অপর দিকে এ ধরণের গুজবে আর কোন মানুসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি নির্যাতনের স্বীকার না হন এ জন্য থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার অংশ হিসাবে গোটা উপজেলায় দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংএ বলা হয়েছে সম্প্রতি কিছু মানসিক ভারসাম্যহীন পাগল এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটিকে অনেকেই ছেলে ধরা হিসাবে এলাকায় গুজব ছড়াচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। যদি কোন পাগল কিংবা অপরিচিত লোককে কোথাও দেখতে পাওয়া যায় সাথে সাথে থানা পুলিশকে জানানোর কথা বলা হয়। এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যত পাগল রয়েছে সব পাগলকে থানায় জড়ো করে অনত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন ওসি এমদাদুল হক শেখ। তিনি গত দু’দিনে ডজন খানেক পাগলকে থানায় জড়ো করেন। এরপর তাদের গোসল করিয়ে, চুল ছাটিয়ে ও নতুন পোশাক পরিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অনত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। থানা পুলিশের এ ধরণের ব্যবস্থার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক অনেকটাই কমে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।