Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

দুর্গাপুরে কিশোরী ধর্ষিতা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ! নেত্রকোনা

দুর্গাপুরে কিশোরী ধর্ষিতা ৬ মাসের  অন্তঃসত্ত্বা !

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে কাজের মেয়েকে দুই সন্তানের পিতা মোন্তফা (৩৫) কর্তৃক জোরপূর্বক এক কিশোরী (১৮) ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিত ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানান ভিকটিমের অভিভাবক সবুজ মিয়া।

অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাওঁকান্দিয়া ইউনিয়নের কানাইল গ্রামের মৃতঃ ইউসুফ আলীর পুত্রকানাইল সরকারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা ওই কিশোরীকে নানা প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করায় কিশোরী এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিকটিম একই গ্রামের দরিদ্র হওয়ার সুবাধে কিশোরীকে মোস্তফার বাড়ীতে ঝি-এর কাজ করতো। এরই সুবাধে বিয়ে করবে বলে নানান প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শিক্ষক মোস্তফা। ধর্ষণের বিষয়টি বুধবার জানাজানি হলে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। বিষয়টি নানা উপায়ে মিমাংসার চেষ্টা সহ কিশোরীর গর্ভে আসা সন্তানটিকে নষ্ট করার জন্যে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষকের পরিবার ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুর্গাপুর থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে। ভিকটিমের বাবা জানান, আমি নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাই। যে আমার মেয়ের এরকম সর্বনাশ করেছে সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা রয়েছে। আমিই থানায় ভিকটিমকে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাফার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। আপনারা যা পারেন লিখেন। 

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।