পাইকগাছায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকদের মানববন্ধন খুলনা / 
পাইকগাছায় আলোচিত চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা পানি সরবরাহের ক্যানেল ও স্লুইচ গেট বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় দেড় হাজার বিঘা আয়তনের ৫০টি চিংড়ি ঘেরে পানি উত্তোলন করতে পারেননি জমি ও ঘের মালিকরা। ফলে চলতি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ও জমি মালিকরা কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন। দ্রুত পানি উত্তোলন করতে না পারলে আগামী আমন ফসল উৎপাদনও ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করছেন। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সঞ্জীব রায় ও ইমরান হোসেন গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রাপ্ত সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নূরপুর-আমিরপুর মৌজার একটি চিংড়ি ঘের নিয়ে জাহাঙ্গীর বকুল গং ও সঞ্জীব, ইমরান গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। সঞ্জীব গংদের চিংড়ি ঘেরের মধ্য থেকে জাহাঙ্গীর গংরা তাদের পৈত্রিক ২০ বিঘা জমি চলতি মৌসুমে আলাদা করে নিলে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। জমি ও ঘের মালিক ঈসা গাজী জানান, এলাকার সকল জমির মালিকদের নিকট থেকে বিঘা প্রতি ৫শ টাকা করে নিয়ে মিনহাজ বাজার সংলগ্ন নদী থেকে হোগলার চক যতিন বাবুর বাড়ী পর্যন্ত ক্যানেল, বাঁধ ও নূরপুর-আমিরপুর মৌজার পিচে রাস্তার উপর স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। উক্ত ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে সঞ্জীব গংরা চলতি মৌসুমের শুরুতেই ক্যানেলের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও স্লুইচ গেটটি বন্ধ করে দেওয়ায় ৫০টি চিংড়ি ঘেরের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে প্রায় দেড় হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর প্রতিবাদে রোববার দুপুরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সঞ্জীব, ইমরান গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- একান্ত বাইন, ঈসা গাজী, সুফিয়া বেগম, সুব্রত মন্ডল, কমলেশ, খায়রুল, হরপ্রসাদ,স্বপন, প্রদীপ, ধীরেন, রোকন, সুব্রত, বিনয়, সুজিত, গোবিন্দ, মোস্তফা, যোতিন, অবনী, পরিমল, কুমারেশ, মাজেদ, বাবু, জামাল, রবিউল, রহমত, জাহাঙ্গীর, রশিদ, সম্রাট, মোমিনুল ও নজরুল মিস্ত্রী।