Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষক গ্রেফতার চট্টগ্রাম

মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষক গ্রেফতার

হত্যা মামলা পর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন এলাকার অদূরে ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও হেফজখানার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা, মো. তারেক, মো. জোবায়ের, মো. আনাস। বাকি একজনের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি পুলিশ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তার বাবা আনিসুর রহমান শুক্রবার দুপুরে হত্যা মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা সবাই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মামলার আসামি।

গ্রেপ্তার ৫ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি আমরা। তবে তারা অভিযোগ এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫-৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি।

হাবিবের বাবা আনিসুর রহমান জানান, ছেলেকে ১৩ মাস আগে তিনি ওই হেফজখানায় ভর্তি করেছেন। তিন-চার দিন আগে মাদ্রাসার শিক্ষক মো. তারেক মারধর করলে হাবিব বাসায় চলে যায়। পরে তাকে বুঝিয়ে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠানো হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর হাফেজ তারেক ফোন করে জানায়, হাবিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাদ্রাসা থেকে এ খবর পাওয়ার পর বাসায় খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন বাসায়ও হাবিব যায়নি। রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা ফোন করে জানান, হাবিব আত্মহত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নগরীর ওয়াজেদিয়া এলাকার ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও হেফজখানা থেকে শিশু হাবিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধারের সময় হাবিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। শিশুটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানার পর বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শিশুটি কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। তবে দু’দিন আগে সে আবার ফিরে আসে। ফেরত আসার পর তার ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ।

বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, মাদ্রাসার সঙ্গে লাগোয়া একটি মসজিদে ছাত্রদের পড়ানো হয়। মসজিদটির চার তলায় গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হাবিবের লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো ছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা জানা যাবে।