সিরাজদিখানে পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী শিক্ষিত বেকার যুবকরা মুন্সিগঞ্জ / 
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পোল্ট্রি খামার করে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগে মুরগি পালন ছিল একটি শখের বিষয় এখন ব্যবসায়িক ভাবে রূপ নিয়ে মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মিটাচ্ছে। এই মুরগি পালনের মাধ্যমে বর্তমানে বেকারত্ব দূরীকরণ সহ আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারা। বেকার যুবকরা সামান্য কিছু অর্থ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে আজ তারা বেকারত্ব ঘোচাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলার বয়রাগাদী, মালখানাগর, লতব্দী, কোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেকার যুবকরা বেকারত্ব ঘোচাতে যুব উন্নয়নের ট্রের্নিং নিয়ে তারা পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এমনি এক শিক্ষিত যুবক আরিফুল ইসলাম খান সাকিল লেখাপড়া শেষ করে চাকরীর জন্য না ঘুরে যুবউন্নয়নের ট্রের্নিং নিয়ে পোল্ট্রি মুরগির খামার দিয়ে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে দেখে এ এলাকার আরো অনেক যুবক পোল্ট্রির মুরগি পালনে এগিয়ে এসেছেন।
উপজেলার কোলা গ্রামের আরিফুল ইসলাম খান সাকিল গত ৫ বছর ধরে পোল্ট্রি মুরগি খামার করে ভালই আছেন। প্রথমে ছোট একটি খামার করেন পরে ব্যবসায়িক ভাবে লাভবান হওয়ার পর ২টি বড় সেট করে কক প্রজাতির মুরগি পালন করছেন। বর্তমানে তার খামারে ৪ হাজার মুরগি রয়েছে।
মুরগি খামারি আরিফুল ইসলাম খান সাকিল বলেন, লেখাপড়া শেষ করে বেকার হয়ে চাকরীর জন্য ঘুরছিলাম। চাকরি না পেয়ে পরে যুব উন্নয়নের কর্মকর্তার পরামর্শে যুব উন্নয়নের ট্রেনিং নিয়ে ৭ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে পোল্ট্রি খামার শুরু করি। মুরগির খামারের ব্যবসা করে আমি সংসার চালাচ্ছি। আমি এই ব্যবসা থেকে বেশ অর্থ উপার্জন করেছি এখন আর্থিক ভাবে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।
তবে বর্তমানে মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের পরিমান অনেক কমে গেছে। ২০১৮ সালে প্রতিটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৯ থেকে ১০ টাকা যার বর্তমান মূল্য ২৭ থেকে ২৮ টাকা। বর্তমান সরকার বেকারত্ব ঘোচাতে যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে এ ব্যবসায় বাচ্চা ও খাবারের দাম না কমালে ব্যবসায়ীরা লাভের পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রতি কেজি মুরগির মূল্য ১৩৫/১৪০ টাকায় বর্তমান বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ডলি রানী নাগ বলেন, ছোট ব্যবসা হলেও বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে মুরগি পালন। আমরা বেকার যুবকদের ট্রেনিং ও আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের দিকে উদ্বুদ্ধ করছি। আরিফুল ইসলাম আমার দেখা এক জন সফল উদ্যোক্তা। সে শিক্ষা সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তার মত আরো বেকার যুবকরা এগিয়ে আসলে দেশের বেকারত্ব কমবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।