Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

৩০ লক্ষ অতিথিকে পবিত্র হজের সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত মক্কা নগরীর মিনা উপত্যকা আন্তর্জাতিক

৩০ লক্ষ অতিথিকে পবিত্র হজের সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত মক্কা নগরীর মিনা উপত্যকা

পবিত্র  হজ পালন করতে আসা প্রায় ৩০ লক্ষ অতিথিকে স্বাগত জানাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সৌদি কতৃপক্ষ ।  তাঁবুর শহর বলে পরিচিত এই মিনাতেই মঙ্গলবার অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৮ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে হজের পর্দা উঠবে। আগামী পাঁচ দিন অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত চলবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জড়ো হয়েছেন মিনায়। তারা মঙ্গলবার হজের প্রথম দিন সেখানে অবস্থান করবেন। পরদিন বুধবার (৯ জিলহজ) সূর্যোদয়ের পরপরই হাজিরা সমবেত হবেন মক্কা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে।

আরাফাত ময়দানেই লাখো হাজির কণ্ঠে উচ্চারিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা-শারিকালাকা লাব্বাইক’ ধ্বনি। প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগে এ আরাফাত ময়দানেই রাসূল (সা.) লক্ষাধিক সাহাবির সামনে ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। মক্কা ও মদীনার পবিত্র দুই মসজিদের দায়িত্বে থাকা সৌদি বাদশাহ সালমান হজযাত্রীদের আরামের সঙ্গে হজের অনুষাঙ্গিক রীতি রেওয়াজ পালনে সকল ধরনের সেবা দিতে নির্ধারিত সংস্থাগুলোকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় ‘সৌদি গেজেট’ জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭২ হাজার ১৪৮ জন ধর্মপ্রাণ মানুষ হজের জন্য মক্কায় পৌঁছেছেন।

এদের মধ্যে ৩০৮ জন হাজি মারা গেছেন। মঙ্গলবার হজের প্রথম দিনে মিনায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ লাখ মানুষ জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হাজিদের নিরাপত্তার জন্য এক লাখ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে সৌদি সরকার। এদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ইউনিট, ট্রাফিক পুলিশ এবং জরুরি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীরাও রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং হাজিদের নিরাপত্তা দেখভাল করা। তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে সেনা ও ন্যাশনাল গার্ড কর্মীরাও। এছাড়া মক্কা থেকে মদীনা সফরের দীর্ঘ পথ জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৫ হাজারের মত সিসিটিভি ক্যামেরা। হজের আগে গত বৃহস্পতিবার মক্কায় একটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মিলিত মহড়ায় অংশ নিয়েছে সৌদি আরবের সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার মিনায় আরো তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে। তারা সেখানে হজের শেষ দিন পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। মিনার চারপাশে ২৭৬টি মোটরবাইকে চড়ে টহল দেবে আরো নিরাপত্তা বাহিনী।

তারা তাঁবুতে অবস্থানরত হাজিদের দেখভাল করবেন। এছাড়া হাজিদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখভালের জন্যও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সৌদি স্বাস্থ্য বিভাগ হজ উপলক্ষ্যে মক্কা ও মদীনায় বিশেষ স্বাস্থ্য টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করেছে। এছাড়া সম্প্রতি মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় আহতেদের হজ করানোর জন্যও বিশেস গাড়ির ব্যবস্থা করেছে সৌদি সরকার। আহত হাজিরা ওইসব গাড়িতে করেই মক্কা ও মদীনার পবিত্র স্থানগুলো সফর করবেন।