Opu Hasnat

আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার ২০২৪,

শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ফেরীঘাটে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জ

শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ফেরীঘাটে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুট দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এ রুটে ফেরী ও নৌ চলাচলে ব্যহত হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগের বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উজান হতে পলি আসায় নব্যতা সংকটের সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিএ এ রুটো নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজ করে থাকে এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে মূল পদ্মানদীর সাথে সংযুক্ত স্থানে প্রবল ঘুর্নায়ন স্রোতের সৃষ্টি হয়। এ কারণে ফেরী চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ১৮-২০ ইঞ্চি সরকারি ও বেসরকারি ড্রেজারে এ সময় কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ৩০ ইঞ্চির উর্ধে ড্রেজারের প্রয়োজন হয়। চর জানাজান থেকে কাঠাঁলবাড়ি ঘাট স্থানান্তর করায় ৪ কি.মি. দুরত্ব কমে ১০ কি.মি. এসেছে। কিন্তু পদ্মাসেতু প্রকল্পের পিলার এই ফেরীরুট চ্যানেলে হওয়ায় উজানে পলি বৃদ্ধি পেয়ে ফেরী চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ফেরী ও নৌচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২ কি.মি. ভাটিতে ৫ কি.মি. দৈর্ঘের একটি বিকল্প চ্যানেল তৈরীর জন্য বিআইডব্লিউটিএ ২৭ ফেব্রুয়ারী-১৯ থেকে ড্রেজিং শুরু করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০ ইঞ্চি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণের জন্য এ বছর ২০মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে। তাই শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুটে একটি বিকল্পচ্যানেল তৈরী করা হচ্ছে। এ রুটে নাব্যতা রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ ২৬ ইঞ্চি ড্রেজারসহ ৮/৯টি ড্রেজার কাজে নিয়োজিত করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জজেলার লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে মঙ্গলবার সাড়ে ১২ টার দিকে বিআইডব্লিউবিব্লিবাংলোয় আলোচনা ও পদ্মানদী চ্যানেল পরিদর্শণ করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগন।

ঘাট এলাকা পরিদর্শণ কালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ড্রেজিং শুধু মাওয়াতে নয়। সারাদেশের অনেক জায়গায় চলছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ড্রেজিং পরিচালনা করা হয়।