মুন্সীগঞ্জ পথে প্রান্তরে মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের ‘আনারস’ প্রতিক মুন্সিগঞ্জ / 
এস.এম. মাহতাব উদ্দিন কল্লোল। সকলের কাছেই তিনি খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয়। কেউ কখনো দেখেছে আবার কখনো তাকে দেখেনি। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনের এই সময় পোষ্টার, ব্যানার, হ্যান্ডবিল, মাইকিং, প্রার্থীর সমর্থক, কর্মীদের প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগে প্রতিটি ভোটারদের বাড়ি-ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে কল্লোল ভাই- নির্বাচন নিয়ে গল্প-গুজব কথা বলার সময় এমন কথা গুলোই বললেন-সিপাহিপাড়া, কাঁঠালতলা, দরগাহবাড়ি, গোয়ালঘূর্নি, গোরস্তান, মিরাপাড়া, রামগোপালপুর নূরপুর, বটতলা, টেংগর, নৈয়দিঘীরপাথর, বড়নগর, কমলাঘাট, তিলারদিচর, এনায়েতনগর, মিরকাদিম বাজার, মুরমা, চন্দনতলা, কাজী কসবা এলাকার ভোটাররা।
দের মধ্যে সিপাহিপাড়ার ফুল ব্যবসায়ী রুবেল,টিভি সার্ভিসার রাকিব, মোবাইল সার্ভিসার আসিফ ও কাঁঠালতলার ফার্নিচার ব্যবসায়ী মিরাজ তালুকদার, মো: জসিম মিয়া। তারা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে স্বতন্তপ্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন কল্লোলকে এলাকার বহু নারী-পুরুষ ও নতূন ভোটাররা দেখেনি কিন্তু এসকল ভোটার উপজেলা পরিষদে বিকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। তারা দীর্ঘবছর একই মুখ এ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখে আসছে কিন্তু এবার ভোটারা নতূন কাউকে দেখতে চান যিনি নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন।
এরা আরো জানান,এ এলাকার প্রতিটি পথে প্রান্তরে আনারসের সমর্থন বেড়েছে,বাড়ছে। সুষ্ঠভাবে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে কল্লোলই ভাল করবেন।
অপরদিকে, বড়নগর, কমলাঘাট, মিরকাদিম বাজার,মুরমা,চন্দনতলা এলাকার পথে প্রান্তরে আনারস প্রতীকের পোষ্টার, ব্যানার, হ্যান্ডবিলে ছেয়ে গেছে। এখানেও চলছে মাইকিং, ছোট ছোট মিছিল ও গণসংযোগ। এসকল এলাকা ঘুরে জানা গেলো, আনারস প্রতীকের কর্মী সমর্থকেরা প্রতিটি এলাকার বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে নিজেদের প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন কল্লোলের জন্য ভোট চাইতে ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত উঠোন বৈঠক করছেন। আর এসকল উঠোন বৈঠক গুলোতে উপস্থিত ভোটাররা আনারসকেই সমর্থন দিচ্ছেন। ভোটারদের মুখ থেকে না কী এমনও কথা উঠে আসছে যে,এই সদর উপজেলা পরিষদে নতুন কেউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসুক এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন মূলক কাজ হবে তা দেখতে চান,ভোটারা এ প্রত্যাশাই করছেন। এমন তথ্যই পাওয়া গেলো কল্লোল সমর্থকদের গণসংযোগ থেকে।
এছাড়া তিলারদিচর,এনায়েতনগর এলাকার পথে প্রান্তরে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন কল্লোলের ব্যাপক পোষ্টার,ব্যানার, হ্যান্ডবিলে সরগরম। চলছে সমর্থক,কর্মীদের প্রচার-প্রচারণা,গণসংযোগ। এখানকার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কথা হলে এ এলাকার পঞ্চাশউর্ধ্বো ইসমাইল হোসেন ও মুজিবুর রহমান নির্বাচনে মারামারি,সংঘর্ষ,আগের দিন কেন্দ্র দখল এ নিয়ে তারা দুজনই অন্যদের মতোন শঙ্কিত । তবু এরা দুজন বলেন-এখন একটি পরিবর্তন দরকার। তবে, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে ভোট দিবো,যদি ব্যতিক্রম হয় তবে এটি নিয়ে দ্বিতীয়বার কষ্ট পাবো।
এদিকে, নৈয়দিঘীরপাথর এলাকার ভোটার মনোয়ারা বেগম, রমজান বেগম, কুলসুম বেগম,জমিলা বেগম তাদেরও একই কথা । এরা বলেন,এ নির্বাচনে পুরান মানুষেরে পাল্টানো দরকার। মানুষ পরিবর্তন চায়। উন্নয়ন দেখতে চায়। গত দশবছর এখানে কোনো কাজ হয়নি বলেও তারা অভিযোগ তুলেন।
অপরদিকে,পঞ্চসার ইউনিয়নের পশ্চিম বিনোদপুর গ্রামের হক মাদব্বর বাড়ি,শফি মাদব্বর বাড়ি, দেওয়ান বাড়ি,হাজ্বী বাড়ি, ফকির বাড়ি, তাতি বাড়ি, সৈয়াল বাড়ি। এসকল বাড়ি গুলোতে গণসংযোগ করছিলেন আনারস প্রতীকের একদল নারী সর্মথক কর্মী। ওই সময় তাদের সঙ্গে দেখা হলে কথা হয়। গণসংযোগে ছিলেন মঞ্জু বেগম, সাথী আক্তার, নিপা বেগম, স্মৃতি বেগমসহ অনেকে। এদের মধ্যে থেকে কলেজ পড়–য়া সাথী আক্তার জানান, এখানকার ভোটারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি,বেশির ভাগ ভোটার এবার বিকল্প একজনকে চান। ভোটারদের কাছে সেই বিকল্প মানুষটিই হচ্ছেন আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কল্লোল ভাই। এ এলাকার নতূন ভোটার ও শিক্ষার্থী পারভেজ, মতিউর রহমান, আবু সাইদ, জুয়েল মিয়া তাদের সঙ্গে কথা হলে এরা বলেন, কল্লোল ভাইকে ভোট দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের তরুন ভোটারদের মধ্যে । কারন, আমরা জেনেছি তিনি নিজেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ৫ টি চরসহ চরমুক্তারপুর, নয়াগাঁও, ফায়ার সার্ভিস মোড়. বাসষ্ট্যান, সুপার মাকের্ট, কাচারি সড়কে আনারস প্রতীকের সাঁটানো ব্যানার, পোষ্টার আর পোষ্টারে সয়লাব হয়ে উঠেছে তা চোখে পড়ে।