Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন কাল চট্টগ্রাম

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন কাল

তৃতীয় ধাপে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৫ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রোববার (২৪ মার্চ) । উপজেলাগুলো হচ্ছে- পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া।

এছাড়া একইদিন আনোয়ারা উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোট হচ্ছে না। ৫ উপজেলায় ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৩১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটযুদ্ধে আছেন।

বোয়ালখালীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন।

পটিয়ায় তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করলেও দলের নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি এবার লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে। এ ছাড়া যুবলীগের চট্টগ্রাম নগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তিনজন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সোলতানুল কবির চৌধুরীর বড় ছেলে চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মৌলভী নুর হোসেন।

লোহাগাড়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী ও এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

চন্দনাইশে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা একেএম নাজিম উদ্দীন ও পর পর দু’বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, ৫ উপজেলায় ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতিত নেয়া হয়েছে। ব্যালট পেপারসহ সকল নির্বাচনী সামগ্রী উপজেলাগুলোতে পৌঁছে গেছে। ৩ হাজার ৬০৫ জন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৬ হাজার ৩১২ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণে যুক্ত আছেন। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ-র‌্যাব-আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে।