Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তবমুখী পাঠদানে প্রত্যেক শিক্ষককে আন্তরিক হতে হবে চট্টগ্রাম

শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তবমুখী পাঠদানে প্রত্যেক শিক্ষককে আন্তরিক হতে হবে

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যেগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে “প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি, উন্নত জীবনের ভিত্তি”-এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই মাঠে অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী শিক্ষা মেলা সম্পন্ন হয়েছে। মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সুলতান মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিটিআই সুপার কামরুন নাহার ও সহকারী সুপার রওশন আরা। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা অফিসার মো. মামুন কবির ও শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল।  শিক্ষা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে  নগরীর ও জেলার  বিভিন্ন থানা/ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা,  ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা অফিসার কর্মচারীরা  উপস্থিত ছিলেন । 

শেষে বিচারকদের নিরপেক্ষ বিচারে উপকরণে শিক্ষা মেলায় শ্রেষ্ঠ স্টল প্রধান/প্রতিনিধিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সুলতান মিয়া।  এবারের শিক্ষা মেলায় বাঁশখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস-প্রথম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস-দ্বিতীয় ও নগরীর কোতোয়ালী থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস-তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষা-থানা  কর্মকর্তাদের মাঝে সান্তনা পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা উপহার তুলে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা। সমাপনী অনুষ্ঠানের পূর্বে বিভিন্ন থানা/উপজেলা প্রাথমিক অফিসের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

শিক্ষা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সুলতানা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সকল আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। দক্ষ মানব সম্পদ গঠনে এ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে শিশু বান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালুকরণ, শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাসহ সর্বস্তরে শিক্ষা সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে বিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষার মান আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দেশের কোন শিশু যাতে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী পদক্ষেপও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে নীতি-নৈতিকতাও শিখাতে হবে। ক্লাসে উপকরণ দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তবমুখী পাঠদানে প্রত্যেক শিক্ষককে আন্তরিক হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে  মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।