Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় এক বিস্ময়ের নাম চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় এক বিস্ময়ের নাম

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন বঙ্গবন্ধু জন্মে ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। ইতিহাসের এ মহানায়ক তাঁর জীবন-যৌবন উৎসর্গ করে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর জীবনের চেয়েও দেশ ও জনগণকে ভালবেসেছিলেন। ইতিহাসের এমন কিংবদন্তি মহানায়ক পৃথিবীতে বার বার জন্মাবে না। বিশ্বনন্দিত এ মহানায়ক আর আসবেন না এ পৃথিবীতে। তাঁর জীবনী ও কর্ম দেশের সকল নাগরিককে পাঠ করে, অনুশীলন করে তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলা শিশু একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত করে নান্দনিক সাংস্কৃতিক উৎসব ও শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। 

মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্ত্বা। তাই বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের মাপ ছিল ৫৬ হাজার বর্গ মাইল। শৈশব থেকেই সাহস, সংকল্প ও দেশপ্রেমের অপরনাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তৃণমূল থেকে তাঁর শক্তি সঞ্চয় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে বিশ্বসভায় এক বিস্ময়ের নাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাব। এটাই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার। মুখ্য আলোচকের ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শোষণ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনার সাড়ে ৩ বছরে তিনি সে রাষ্ট্রের ভীতও গড়ে দিয়েছিলেন। তবে তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে কাক্সিক্ষত দেশ গড়ার পথ রুদ্ধ করা হয়। এখনও ধনী গরিবের ব্যবধান বাড়ছে। তাই চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে জোর দিতে হবে। বিশেষ অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডীন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, বঙ্গবন্ধু চর্চা আদি-অন্ত:হীন। এ চর্চা করে যেতে হবে। একটি বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে লড়াই বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন তা বাধাগ্রস্থ করতেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ একটি জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধুর বড় অর্জন। এটি অনেক কঠিন কাজ। এ রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য অসাম্প্রদায়িকতা। 

সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাস্তববাদী। জনগণের প্রত্যাশ্যা বাইরে তিনি কিছুই করতে চান নি। বিদেশ থেকে ধার করা কোন মতবাদ তিনি জোর করে জনগণের উপর চাপিয়ে দেন নি। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নান্দনিক সাংস্কৃতিক ও শিশু সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: হোসেন আহমদ, জেলা শিশু একাডেমীর শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক পরিষদের সমন্বয়ক আবদুর রশিদ লোকমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, মুজিবুর রহমান, মাস্টার আবদুর রহিম, এনামুল হাসান প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুকে নান্দনিক সাংষ্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করেন জেলা শিশু একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত করে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচারের জন্য চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত গণমাধ্যমগুলোর প্রতি বঙ্গবন্ধু শততম জন্মদিন উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।