Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পাইকগাছার আলোচিত চিংড়ি ঘেরের বিরোধ নিস্পত্তির চেষ্টায় এএসপি খুলনা

পাইকগাছার আলোচিত চিংড়ি ঘেরের বিরোধ নিস্পত্তির চেষ্টায় এএসপি

পাইকগাছার আলোচিত চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা পানি সরবরাহের ক্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে হাজার হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের। পানি সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অর্ধশতাধিক চিংড়ি চাষী। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিকরা সংকট নিরসনে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। উপজেলার লস্কর-গড়ইখালী ইউপি সীমান্তে নূরপুর আমিরপুর মৌজাস্থ ঘের মালিক ইমরান হোসেন সোহাগ গং ও জাহাঙ্গীর সরদার গংদের বিরোধের জেরে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিরোধ নিস্পত্তির চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দু’ইউনিয়ন সীমান্তে নুরপুর আমিরপুর মৌজায় প্রয়াত শাহজাহান সানার ছেলে ইমরান হোসেন সোহাগ-সঞ্জীব গংরা ওয়াপদার ভিতর ও বাহিরে প্রায় ২৫০ বিঘা জমিতে চিংড়ি ঘের করে আসছিল। ইমরান-সঞ্জীব গংদের লীজ ডিড দেয়নি এবং হারীর টাকা পাননি এমন অভিযোগে জমির মালিক জাহাঙ্গীর-বকুল গংরা চলতি মৌসুমে উক্ত ঘেরের মধ্য হতে সম্পত্তি পৃথক করে আলাদা ঘের করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। দু’পক্ষই বিভিন্ন দপ্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সহ সংবাদ সম্মেলন করেন। সোহাগ-সঞ্জীব গংদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের ডিড কৃত জমির উপর দিয়ে ক্যানেল ও নিজস্ব অর্থায়নে স্লুইচ করা, ভিতরে তারা লবণ পানি প্রবেশ করাবেন না। এ অভিযোগ খন্ডন করে জমির মালিকদের মধ্যে কানাখালীর দবির উদ্দীন, জাহাঙ্গীর সরদার, বকুল মন্ডল গংরা জানান, ডিডকৃত ও বিনা ডিডের আমাদের জমির মাথা দিয়ে ক্যানেল তৈরী করা প্রতি বছর পানি সরবরাহের কথা বলে সঞ্জীব গংরা বিঘাপ্রতি ৫শ টাকা করে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। চলতি মৌসুমে আমাদের জমি পৃথক করে নেয়ায় তারা পরিকল্পিতভাবে ঘেরে এলাকার একমাত্র চিংড়ি চাষ বন্ধ করার জন্য পানি সরবরাহের পথ বন্ধ করে মানুষকে বিপদে ফেলেছেন। এলাকার জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনোরঞ্জন মন্ডল, হারুন সানা, খায়রুল মিস্ত্রী অভিযোগ করেছেন, সঞ্জীব গংরা পরিকল্পিতভাবে পানি সরবরাহের ক্যানেল বন্ধ করে এলাকার হাজার হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের বন্ধ করে অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকার মানুষ থানার ওসি বরাবর অভিযোগ করেছেন। থানাপুলিশ সহ সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শুক্রবার সকালে নিজ কার্যালয়ে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক করে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিস্পত্তি করার চেষ্টা করেন।