Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

নারী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুন নেসা মুন্সিগঞ্জ

নারী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুন নেসা


স্কুল-জীবন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. লুৎফুন নেসা। বীর সৈনিক ও রাজনীতিক পিতার উৎসাহ তাঁকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করেছে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে যোগ দিতে মুক্তিযুদ্ধেও বিশেষ অবদান রেখেছেন এই সাহসী নারী।

স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে দুই নম্বর সেক্টরের আওতায় মুন্সীগঞ্জে ক্যাপ্টেন হায়দার এর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ডা. লুৎফুন নেসা। কিন্তু বীর সৈনিক পিতার অনুপ্রেরণায় তিনি পরে ভারতের কলকাতায় গিয়ে সম্মুখ যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আবারও মুন্সীগঞ্জে ফিরে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় যোগ দেন লুৎফুন নেসা। 

১১-ই ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ শত্রুমুক্ত হলেও এর কিছুদিন আগে ডা. লুৎফুন নেসা ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেও দেশের করে কাজ করতে থাকেন। দেশ স্বাধীন হলে আবারও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন তিনি।
ডা. লুৎফুন নেসা তার বাবার কথা স্বরণ করে বলেন-‘আমার বাবা বললেন, একজন ডাক্তার হিসেবে তুমি আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা তো করবেই। কিন্তু শত্রুদের আক্রমণের শিকার হলে নিজেদের রক্ষা করতেও তো পারতে হবে। তাই তিনি আমাকে ভারতে নিয়ে গেলেন অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য। তাই আমরা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি সম্মুখ যুদ্ধ করার জন্য প্রশিক্ষিত এবং প্রস্তুুত ছিলাম।  সে জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন যে, এরাই হলো আমার বাংলাদেশের আসল সেবক-মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন লুৎফুন নেসা। একইসাথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন তিনি৷ সেই হিসেবে চলমান স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ইন্দিরা রোডের মরিচা হাউসে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন লুৎফুন নেসা।