সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নীলফামারী / 
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ প্রথম দফার নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে নেমেছেন। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে বিত্তশালী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের মোখছেদুল মোমিন। এরপর আছেন সম্পদশালী ঠিকাদার জাতীয় পার্টির জয়নাল আবেদীন ও কম সম্পদশালী হিসাবে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির মনোনীত প্রার্থী রুহুল আলম মাস্টার।
নৌকা প্রতীকে মোখছেদুল মোমিনের বার্ষিক আয় ও গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৮২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭১ টাকা। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ১৪ লাখ টাকা। তাঁর আয়ের উৎস হিসাবে দেখানো হয়েছে বাড়ি, দোকান ভাড়া, কৃষিখাত, মৎস্য, ডেইরী ফাম ও কমিশন এজেন্টের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর নিজস্ব অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের মধ্যে রেলওয়ে ও কল্যাণ ট্রাষ্টের প্লটে ১২টি দোকান, একটি মাইক্রোবাস, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত একটি বাড়ি এবং পরিবারে রয়েছে ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
জাপার লাঙ্গল প্রতীকের ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের বার্ষিক আয় ও গচ্ছিত অর্থ রয়েছে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৩৫৯ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তাঁর নগদ রয়েছে ৪ লাখ টাকা, আর্থিক ও ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৯ টাকা। ব্যাংকের তাঁর দায়দেনা রয়েছে ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬ টাকা। অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানায় রেলওয়ে জমিতে তিনতলা ভবন, কৃষি জমি ১১ দশমিক ৪৪ একর, অকৃষি জমি ২০ শতক এবং ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে কৃষি জমি এক একর ও একটি বাড়ি এবং দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ী প্রতীকের রুহুল আলম মাস্টার স্নাতক ডিগ্রিধারী কম সম্পদশালী। তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৯ টাকা। নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রে আমানত রয়েছে ২০ লাখ টাকা। নেই কোন জমি, ব্যবসা ও দায়দেনা। পৈত্রিক সূত্রে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর নামে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নেই।প্রতিদ্ব›িদ্ব এই তিন প ্রার্থী উপজেলা নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিলকৃত হলফনামায় ওইসব তথ্য প্রদান করেছেন বলে উপজেলা নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ হতে জানা যায়।