Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় বাদ পড়লেন চেয়ারম্যানসহ ১৭ প্রার্থী কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় বাদ পড়লেন চেয়ারম্যানসহ ১৭ প্রার্থী

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে মোট ১৭ জন বাদ পড়েছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৭৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, করিমগঞ্জ উপজেলার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান ভ‚ঞা ও মো. সোহাগ মিয়া, কুলিয়ারচর উপজেলার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন ও অ্যাডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার খোকন, ভৈরব উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজির উদ্দিন, অষ্টগ্রাম উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঞা এবং বাজিতপুর উপজেলার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর, নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এই ৭টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো.
আক্তার জামীল।

অন্যদিকে বাকি ৬টি উপজেলা করিমগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও ভৈরব উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন  রিটার্নিং অফিসার কিশোরগঞ্জের জেলা নির্বাচন অফিসার মো. তাজুল ইসলাম।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৮২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমাদানকারী ৫৬ প্রার্থীর মধ্যে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ২০ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাকি ৩৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৩, জাতীয় পার্টি মনোনীত তিন, জাকের পার্টি মনোনীত দুই এবং এনপিপি ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত এক জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

তাদের মধ্যে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ১৯ দলীয় প্রার্থী এবং ৩০ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

বাছাই শেষে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৮ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন এবং বাকি সাত স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের তথ্য ও গবেষণা সেলের সাবেক কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান কামরুন নাহার লুনা ও মো. সুমন মিয়া।

হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহ জাহান পারভেজ এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহেল এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আব্দুল কাদির স্বপন।

করিমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুল কবির এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান দিদার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুর রহমান এবং মো. ফজলুর রহমান।

তাড়াইল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৫ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুল হক ভূঞা মোতাহার, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী তাড়াইল উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া কাঞ্চন এর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ভ‚ঞা শাহীন এবং তিন স্বতন্ত্র উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাত উদ্দিন আহমেদ বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ভূঞা ও আলহাজ্ব একেএস জামান সম্রাট।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ২ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম শওকত।

কটিয়াদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৬ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী, জাকের পার্টির প্রার্থী শহীদুজ্জামান স্বপন এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলতাফ উদ্দীন, ডা. মোস্তাকুর রহমান ও মো. আনোয়ার আনার।

ইটনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান।

অষ্টগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাাক আহমেদ কমল মিয়া।
 
মিঠামইন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ২ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী  সদর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল।

নিকলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম এবং অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসহাক ভ‚ঞার ছেলে আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা ও নাসিরুজ্জামান আসলাম।

বাজিতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছারওয়ার আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক মো. মোবারক হোসেন মাস্টার।

ভৈরব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম।

কুলিয়ারচর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া, জাকের পার্টি প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান এবং ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী আবুল কাসেম ফজলুল হক।