Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় ৭শতাধিক যানবাহন-

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরী চলাচল বন্ধ, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে মুন্সিগঞ্জ

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরী চলাচল বন্ধ, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

দেশের দক্ষিনবঙ্গের মুল প্রবেশ দ্বার ২১ জেলার যাতায়াতের অন্যতম দক্ষিন বঙ্গের সহজ পথ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুটে শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল  বন্ধ রাখতে হয় বিআইডব্লিউটিসিকে।

ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়ার শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুট সম্পূর্ন অচল হয়ে পরে। বৃহস্পতিবার রাত ৩ টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকাল ৯ টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা ফেরী চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপদ্মার একাধিক পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানাহন নিয়ে ফেরী নোঙর করে রাখা হয়। এতে করে শিমুলিয়া ফেরীঘাটে প্রায় বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় থাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে নৌরুটের মাঝপদ্মায় ও ঘাটে ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা।

এতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় প্রায় সাত শতাধীক যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ ছোট-বড় যানবাহন আটকা পরে আছে। বেলা বারার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন ঘাট কতৃপক্ষ। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিমুলিয়ার বিআইডবিøউটিসি সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম।

তিনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাত ৩ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ডাম্প ফেরি সহ ছোট-বড় সকল ফেরী শিমুলিয়া ঘাটে বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে মাঝ পদ্মায় সিগনাল-বয়াবাতি না দেখার কারণে ৭ টি ফেরী নদীর মাঝখানে বন্ধ রেখে নোঙ্গর করা হয়েছে। এবং বাকি ফেরী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে মাঝ পদ্মায় নোঙ্গরে থাকা ৭টি ফেরীতে থাকা যাত্রীরা ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 

বিআইডব্লিউটিসি সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম আরো জানান, যেভাবে কুয়াশার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টার আগে ফেরী চলাচল শুরু করা যাবেনা। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরী চলাচল শুরুসহ যাবাহনের চাপ কেটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলে আশা করছি।