Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

অবশেষে মরণোত্তর সম্মাননা পাচ্ছেন ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুর খুলনা

অবশেষে মরণোত্তর সম্মাননা পাচ্ছেন ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুর

অবশেষে মরণোত্তর সম্মাননা পাচ্ছেন ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুর। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ এমএ গফুরকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করবেন। 

উল্লেখ্য, শহীদ এমএ গফুর তৎকালীন উপজেলার হরিনগর গ্রামের মৃত জনাব আলী সানা ও মৃত সোনাবান বিবির ছেলে। তিনি ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২৬ বৈশাখ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির আহবায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে পাইকগাছা-আশাশুনি নির্বাচনী এলাকা থেকে এম.এন.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহোচর ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে থেকে ওয়াপদার ভেঁড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৬জুন আততীয়দের গুলিতে নিহত হন। ভাষা আন্দোলনের ৬৭ বছর এবং স্বাধীনতার ৪৬ বছর শহীদ এম,এ গফুর অনেকটাই উপেক্ষিত ছিলেন। ১৩ ফেব্রæয়ারি উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতি সভায় শহীদ এম,এ গফুর স্মৃতি সংসদের যুগ্ম সম্পাদক ও পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ শহীদ এম,এ গফুরকে ২১ ফেব্রুয়ারি মরণোত্তর সম্মাননা প্রদানের প্রস্তাব করলে সভায় প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। অবশেষে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহোচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষা সৈনিক শহীদ এম,এ গফুরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদানের মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: স.ম. বাবর আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়নাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।