Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনি গনসংযোগে মাহতাব উদ্দিন কল্লোল মুন্সিগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনি গনসংযোগে মাহতাব উদ্দিন কল্লোল


“আমার গ্রাম হবে আমার শহর”-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় নির্বাচন পূর্বক বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া অঙ্গিকারকে বাস্তবে রুপ দেবার লক্ষে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন কল্লোল সোমবার সকাল সারে ৭ টা থেকে রাত সারে ১১টা পর্যন্ত একটানা ১২ ঘন্টা অব্দি গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন কল্লোল ক্লান্তিহীন ভাবে দিন-রাতব্যাপি সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের আলিরটেক ও বৈশারচর গ্রামে, আধারা ইউনিয়নের সুমার ঢালীকান্দি ও চর-সৈয়দপুর গ্রামে এবং শিলই ইউনিয়নে নির্বাচনী গনসংযোগ করছেন।

মাহতাব উদ্দিন কল্লোল নির্বাচনি গনসংযোগ কালীন সময় গ্রামগুলোর বিভিন্ন হাট-বাজারসহ মানুষের বাড়িতে গিয়ে গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দোয়া-সমর্থন চেয়েছেন। 

কল্লোল গনসংযোগ কালে গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, -দেশনেত্রী শেখ হাসিনা গত জাতীয় নির্বাচন পূর্বক বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া “আমার গ্রাম হবে আমার শহর”-এই অঙ্গিকারকে বাস্তবে রুপ দেবার লক্ষ নিয়েই আমি আসন্ন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে দোয়া ও রায় চাই। জনগন তথা আপনারা যদি আমাকে আপনাদের সু-চিন্তিত রায় দেন তাহলে আমি আজীবন শুধু আপনাদের উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাব ইনশ্আল্লাহ।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, শহর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদ, কাজল ঘোষ, জসিম উদ্দিন, আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ সেলিম, আনোয়ার হোসেন আনাসহ গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সাধারণ মানুষ।
শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাবউদ্দিন কল্লোল এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী।  তবে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে জন্য তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দৌড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়নের জন্য ।

এদিকে, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে ৮ জন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও এদের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের নাম প্রচারে সবচে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। আরো একজনের নামও শুনা যাচ্ছে। ওই আরেক জন হচ্ছেন আনিসুজ্জামান আনিছ।  আনিসুজ্জামানের বড় ভাই মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। 

আনিসুজ্জামান আনিছ উপজেলা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাইছেন। দলে তার পরিবারিক প্রভাবের কাছে অন্যান্য প্রত্যাশীরা বলতে গেলে দুর্বল হয়ে পড়লেও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাবউদ্দিন কল্লোল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে বীরদর্পে ক্লান্তিহীন ভাবে প্রতিদিন সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ গ্রাম-গঞ্জে নির্বাচনি গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে জেলা আওয়ামীলীগে শীর্ষ নেতৃত্বে থাকার কারেণে তৃণমূলের সদস্যরা তাদের নেতৃত্বাধীন ও প্রভাবিত। এতে দল থেকে অন্যেরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার সুবিধা করতে পারছেন না। এতে দলীয় অন্যদের উপরে ওঠার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না বলে অনেক আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন। 

মাহতাব উদ্দিন কল্লোল উপজেলা জেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে গণসংযোগ বৃদ্ধি করেছেন। পোস্টার-ব্যানেরর মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে তার। সামাজিক ও রাজনীতির কারণে তিনি শহরে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোনের তুখোড় ছাত্র নেতা ছিলেন তিনি। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদ ও শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে তিনি বেশ কয়েকবার মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন। এছাড়া বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন ভুইয়ার নাম চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনে মুল প্রতিদ্বন্দি হিসেবে মাহতাব উদ্দিন কল্লোল ও আনিছুজ্জামান আনিসের নামই লোক মুখে বেশি শোনা যাচ্ছে।

মাহতাবউদ্দিন কল্লোল আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তার ছোট ভাই আনিসুজ্জামানের জন্য সব কিছুই করেছি। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই পাইনি। আমি তাদের জন্য নির্বাচন করেছি। দলের জন্য জেল জুলুম খেটেছি। আমার বয়স ৫৫ বছর। আমরা কী তাদের জন্য আওয়ামীলীগের মত বৃহত্তম দল থেকে কোনদিনই সুযোগ পাবো না নির্বাচন করার? 

তাদের এই পারিবারিক একছত্র বলয় ভাংগতে হলে নির্বাচন করা দরকার। তাই আমি চেয়ারম্যান পদে অবশ্যই প্রার্থী হবো। এলাকার সাধারণ জনগণ আমাকে চায় ও তাদের দোয়া-সমর্থনে ইনশ্আল্লাহ আমি নির্বাচনে বিজয় অর্জন করবো।