Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে পুলের ভগ্নদশা, জনসাধারনের ভোগান্তি বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে পুলের ভগ্নদশা, জনসাধারনের ভোগান্তি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী ইউনিয়নের একটি সংযোগ পুলের ভগ্নদশার কারনে ৩ গ্রামের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী সহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। পুলটি এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। 
  
উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রাম ও বারইখালী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের বারইখালী সংযোগ খালের একটি পুলটি দীর্ঘ বছর যাবৎ ভগ্নদশায় পড়ে আছে। পুলের তক্তা ও পুরাতন খাম্বা খসে খসে পড়ছে। মাঝ বরাবর একটি খাম্বার উপর দাঁড়িয়ে আছে পুলটি। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন মাদ্রাসা- স্কুল-কলেজের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী এ পুল দিয়ে যাতায়াত করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের কোলে নিয়ে পুলটি পার হতে হয়। ঝুঁকির কারনে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পায়। 

  সুতালড়ী ও গোয়ালবাড়িয়া ও ভাষানদল ও হোগলপাতি গ্রামের সংযোগ পুলের এক পাড়ে রয়েছে এইচ ভি এস হাজী নূরউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, হোগলপাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামে মসজিদ, একাধিক হাট-বাজার, মক্তব সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অপর পাড়ে রয়েছে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মসজিদ। বারইখালী ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার লোক সহজ পথে এ পুল দিয়ে যাতায়াত করে। তাছাড়াও প্রতিদিন শত শত মোটর সাইকেল, ভ্যানচালক এ পুল  দিয়ে যাতায়াত সহজ ও স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। 
  স্থানীয় জনসাধারন পুলটি নিজস্ব উদ্যোগে জোড়াতালি দিয়ে কোন মতে সচল রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের টানাপোড়নে পড়ে পুলটি নিজেই এখন নিশ্চিন্ন হওয়ায় পথে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ পুলটি পুনঃসংষ্কার নয় পুনঃনির্মান অত্যন্ত জরুরী। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল রহিম বাচ্চু ও বারইখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল পুলটি পুনঃ নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহুবার অবহিত করেছেন বলে জানান।  

এই বিভাগের অন্যান্য খবর