Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

অনন্য সংগ্রামী শানু : ড.নাসিমা আকতার শিল্প ও সাহিত্যমতামত

অনন্য সংগ্রামী শানু : ড.নাসিমা আকতার

যুগ যুগ ধরে নারী তার প্রতিভাগুণে কর্মদক্ষতায়  ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে।  নারী হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তী। একের পর এক নক্ষত্র রংপুরেই জন্ম নিয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী দেবী চৌধুরানী, নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী রোকেয়া প্রমুখ আমাদের গর্ব, জাতির অহংকার। 

এঁদের পথযাত্রায় সামিল হয়েছেন হাজারো নারী। বাংলা সাহিত্যে শতবর্ষের সৃজন পরম্পরায় যাঁরা নিজেদের সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম রংপুরের সংগ্রামি কবি-গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যসংগঠক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, গবেষক ও সম্পাদক-প্রকাশক সৈয়দা রুখসানা জামান শানু। যিনি ইতমধ্যে ভারত উপমহাদেশে  লেখক হিসেবে পাঠক সমাজে নন্দিত হয়েছেন এবং  সম্মান অর্জনে সমর্থ হয়েছেন। 

প্রগতিশীল ও বহুমাত্রিক ধারার লেখক,  সৈয়দা রুখসানা জামান শানু ব্যক্তিগত ১ জীবনে সদালাপী, মিশুক রুচিশীল ও সংগ্রামী একজন মানুষ। তাঁর জন্ম ১৯৬৬খ্রি: ১১ জানুয়ারি রংপুর জেলা সদর মুন্সিপাড়ায়। মাতা মরহুমা সৈয়দা হাদিসা বেগম। পিতা মরহুম সৈয়দ মোকসুদ হোসেন (মুক্তিযোদ্ধা) অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ।  পিতার আট সন্তানের মধ্যে সৈয়দা রুখসানা জামান শানু পঞ্চম সন্তান। কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী শানু ছাত্র জীবন থেকেই নানামূখী কৃতিত্বের অবদান রেখে চলেছেন। এবং নিরলস- ক্লান্তহীনভাবে নারী উন্নয়ন ও মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত  রেখেছেন।

সত্তর দশক থেকে সাহিত্য চর্চা করছেন। স্কুল জীবনেই দেয়াল পত্রিকা দিয়ে সম্পাদনার কাছ শুরু করেন। বিগত তিনদশক ধরে নানা ছদ্বনামে তাঁর লেখা কবিতা, গল্প ও ইস্যুভিত্তিক প্রবন্ধ প্রকাশ  পেয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে ছদ্ম নামটি শানু ব্যবহার করেছেন তা ছিল ‘টলুইন’। নব্বই দশক  থেকে  নিজ নামে লিখছেন। তবে মাঝে মধ্যেই তিনি  কোথাও কোথাও টলুইন নামে লিখেছেন।  সাহিত্যের সব শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্তরদৃষ্টি দিয়ে গুণী এই লেখক তাঁর কলমের আঁচড়ে,  সহজ-সরল শব্দমালার বিনুনীতে বাস্তবতার যে চিত্র এঁকেছেন তা পাঠকের মন অনায়াসে স্পর্শ করে। 

বিশ্বব্যাপী আকাশ ছোঁয়া উন্নয়ন হওয়া সত্বেও বর্তমান সমাজে সভ্যতার আবরণে নৈতিকতার অবক্ষয় তা তিনি কাব্যের মধ্য দিয়ে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। লিখেছেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা, হত দরিদ্রের কথা, নিরীহ ব্যক্তি, গোত্রের ওপর অন্যায়, অবিচার, শোষণ, নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণসহ অনাকাঙ্খিতভাবে রাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের নৃশংসতার বিরূদ্ধে তাঁর কলম সোচ্চার। কখনও অন্যায়ের বিরূদ্ধে মাথা নত করেননি। তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রত্যেকটি লেখনিতে সমাজ বাস্তবতা, শোষিত-বঞ্চিতদের কথা, দেশপ্রেম, বড়দের প্রতি ছোটদের সম্মানের কথা, ছোটদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসার কথা বলেছেন অত্যন্ত সহজভাবে। তাঁর কবিতার অনন্য বৈশিষ্ট্য যে তিনি অত্যন্ত সচেতন প্রয়াসে সহজ ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। যুবশক্তিকে বার বার আহবান জানিয়েছেন দেশপ্রেমের প্রতি।  তিনি তাঁর লেখায় বড়দের আহ্বান জানিয়েছেন বাঁধনহারা তরুণদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং ধৈর্য্যের সাথে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করে দিতে। গ্রাম, নদী, পাখি সর্বপরি ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা সব যেন তারা পায় এবং তাদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছেন। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে। তাঁর লেখা শতাব্দীর কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ  কেমন হওয়া উচিৎ তারও সুস্পষ্ট দিক-নিদের্শনা তার প্রকাশিত নিবন্ধে পাওয়া যায়। সাম্প্রাদায়িকতার বিরূদ্ধে সোচ্চার কলম চালিয়ে গেছেন। প্রভাবশালী, রাজনৈতিকভাবে সবল, সুযোগধারী, ক্ষমতাধারী কারোর অন্যায়-অত্যাচারকে তাঁর কলমে প্রশ্রয় দেন নাই। শুধু তাই নয়, এসবের শৃংখল থেকে সাধারণ মানুষ, যুবশক্তি মুক্ত হয়ে সহজ-সরল সুখীজীবন গড়তে পারে এবং সবার মধ্যে  মানবতাবোধ জেগে উঠুক, সঠিক পথে পরিচালিত  হোক সকলের প্রতি বিনম্র আহবান জানিয়েছেন। এমন অনেক ম্যাসেজগুলো তার লেখনিতে পাওয়া যায়। আরো লিখেছেন নারীর ক্ষমতায়নের কথা,সরাসরি ভোটে নির্বাচনের কথা, গণমাধ্যমে প্রচারকৃত বিজ্ঞাপনে নারীদের ইতিবাচক ভূমিকার অভাববোধকেও দারূনভাবে রেফারেন্সসহ ফুটিয়ে তুলেছেন। লিখেছেন আইনের ফাঁকের কথা এছাড়া নানা বিষয়ের ওপর তাঁর তথ্যসমৃদ্ধ ও যুক্তিপ্রবণ  লেখনী সাউথ এশিয়া ছাড়িয়ে আমেরিকার সাহিত্য সমাজেও সুনামের সাথে স্থান করে নিয়েছে। তিনি ছবিসহ শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন অত্যন্ত যত্নে। যা পড়ে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবে না, শিক্ষকরাও বইটি টিচিং ম্যাটেরিয়াল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বাংলাভাষায় রচিত সাহিত্যেই সুনাম অর্জন করেননি,  তাঁর সাহিত্য কর্ম ছড়িয়ে দিয়েছেন হিন্দি, নেপালি, অসমিয়া, উর্দু এবং ইংরেজি ভাষাতেও। বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমাদের যুব সমাজ যাতে পর্ণগ্রাফ ও মাদকের করালগ্রাসে হারিয়ে না যায় সে জন্য আটটি জেলার তৃণমূল পর্যায় সাহিত্য সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তিনটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠনও  তৈরি করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়ে থাকে মাসিক সাফজবাব সাহিত্য পাতা। একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘বাংলা-বঙ্গো সাঁকো’। 

সব সময় তিনি সহজ শব্দে গণমানুষের জীবনে পাহাড় সমান বৈষম্যের কথা, সমাজের অন্যায়ের বিরূদ্ধে কলম যোদ্ধা হিসাবে কাজ করে চলেছেন তাঁর লেখনীসমূহ এক একটি ডকুমেন্টারী যা আগামি প্রজন্মের কাছে গবেষনামূলক জার্নাল হিসাবে সাহায্য করবে। তাঁর প্রত্যেকটি শব্দ ও  মর্মস্পর্শী  বাক্য চয়ন পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। আর সেজন্যই তো পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। দেশ থেকে অন্যদেশে। তিনি বিশ্বাস করেন সাহিত্যের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। তাই তার বিচরণও অন্যান্য ভাষা ও জাতির সাহিত্যে।

সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি প্রচার বিমুখ অনন্য সংগ্রামী এ মহয়সী নারী সমাজ বির্ণিমানে নিরলসভাবে আশির দশক থেকেই  হতদরিদ্র্য নারীদের নানা ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছেন।  এছাড়া শোষিত ও  সুবিধা বঞ্চিত ৬ হাজার পরিবারকে নিজ উদ্যেগে এবং নিজ খরচে আয়মূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে পূণর্বাসন করে সমাজের মুলধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের জীবনচিত্র পাল্টে দিয়েছেন। এজন্য নানা সময় তাঁকে নানা চ্যালেঞ্জ্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই তিনি এগিয়ে গেছেন। ১৯টি নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীদের শিক্ষিত, স্বাবলম্বী ও সংগঠিত করে ক্ষমতায়িত করার প্রয়াশে দীর্ঘ ৩৯টি বছর পাড়ি দিয়েছেন এখন তাঁর সাফল্য ও  প্রেরণা সমাজে রোলমডেল। কল্যাণী এই নারী মহীয়সী রোকেয়ার মত সমাজে পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সৈয়দপুর ও কুষ্টিয়ায় দু’টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রায় তিনশত মেয়েকে যৌতুকবিহীন বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। প্রায় ২শতাধিক বাল্য বিবাহ রোধ করেছেন নিজ নেতৃত্বে। ২৭’টি নারীকে নিজ খরচে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেছেন। ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীকে উচ্চ শিক্ষা লাভের (বিশ্ববিদ্যালয়ে) জন্য বৃত্তি দিয়েছেন। একটি পাঠাগার ও সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারীদের জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।  সাখাওয়াৎ হোসেনের মত মুক্ত ও উদার মনের স্বামী তাঁর কাজে  অর্থনৈতিকসহ অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। এভাবেই তিনি আলোকিত সমাজ গঠন ও মানব উন্নয়নে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত আনন্দের কথা যে মানব সেবামূলক কাজে নিজ সন্তানদেরকেও তিনি যুক্ত করেছেন। তারাও মায়ের সাথে মায়ের মত  জনকল্যাণমূলক কাজ করতে আনন্দ পান।

সৈয়দা রুখসানা জামান শানু বিজ্ঞান চর্চা ও খেলাধুলাতেও ছিলেন সমান পারদর্শী। সেই আশির দশকে বৃহত্তর রংপুর জেলা (বর্তমান বিভাগ) থেকে বিজ্ঞান কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গর্বের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন। সেসময় এ অঞ্চল  থেকে অন্য কোন নারীকে দেখা যেত না। খেলেছেন বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত। এসব খেলার মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি খেলেছেন হাইজাম্প, লংজাম্প এবং ব্যামিন্টন। তাঁর প্রিয় খেলা ছিল ব্যাডমিন্টন। ছোটবেলা হতে গান, কবিতা অবৃত্তি ও উপস্থাপনাও করতেন। দেশে এবং দেশের বাইরে ৩০৩টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তার কর্ম জীবন শুরু হয় মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে। আজও অবদি কাজ করে যাচ্ছেন।  ছদ্ম নামে ফ্যাশন, রান্না এবং ঘর সাজানোর ওপর লিখে থাকেন। 

নারী সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। আশির দশক থেকে সাংবাদিকতা করছেন। শুরুর দিকে নানা স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে ১৬বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছেন। এছাড়াও দেশে-বিদেশে আটটি পত্রিকার সাথে সাংবাদিকতার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। হলুদ সাংবাদিকতার বিরূদ্ধেও তাঁর কলম সব সময় সোচ্চার। নির্ভীক ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য তিনি  কখনও সংবাদ সম্মেলনে খাম গ্রহণ করেন না। সাংবাদিকতা পেশাকেও তিনি ভীষণ শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের চোখে দেখেন এবং নিজেও সেই দায়িত্ব পালনে অবিচল। 

শিক্ষাবিদ শানু নিজ খরচে প্রতিবন্ধি শিশু ও মানষিক অসুস্থ নারীদের শিক্ষা ও সুস্থজীবন দানের লক্ষ্যে  কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কাজ করছেন আদিবাসিদের অধিকার ও সিডও সনদ নিয়ে। এছাড়া গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে নগ্নতা পরিহার করে নারীর অবস্থান ইতিবাচক, সম্মানজনকভাবে প্রচারিত পণ্যের নৈপুন্যতা ফুটিয়ে তোলা যায়  সে বিষয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের সাথে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাও করেছেন এবং করছেন ।

* গ্রামীন জীবন ও নারী নিয়ে গবেষণা। (১৯৯৯খ্রি:)
* ১৬টি মাদ্রাসা স্কুল নিয়ে গবেষণা।(২০০৪খ্রি:)
* স্থানীয় সরকারের খানা, পানি ও পয়নিষ্কাসন, ড্রেনেজ এবং ডাম্পিং নিয়ে গবেষণা। (২০১৩খ্রি:)
* পারস্পারিক শিখন নিয়ে গবেষণা। (তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের ৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া কাজের পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা।)(২০১৪খ্রি:) 
* লোকসাহিত্য নিয়ে গবেষণা।(২০১৮খ্রি:)

তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
 কাব্যগ্রন্থ: 
* ভালোবাসা  (২০১৬খ্রি:)
* আস্থার অহংবোধ (২০১৭খ্রি:)
* বৈষম্য (২০১৮ খ্রি:)
* অতশী (২০১৮ খ্রি:)
* বন্ধুদের জন্য (২০১৮
* নানা রঙের প্রনয়লীলা (২০১৮ খ্রি:)

শিশুতোষগ্রন্থ: 
* বর্ষা যখন রঙ্গীন (২০১৮ খ্রি:)
* জেনে নাও নাজরূলকে (২০১৮ খ্রি:)
* ছোটদের ইসলাম।(২০১৮ খ্রি:)

গল্পগ্রন্থ: 
* রেশমী চূড়ী (২০১৮ খ্রি:)

প্রবন্ধগ্রন্থ:
* চৈতিফসলে বিভাজন। (২০১৮ খ্রি:)

কবিতার সিডি রয়েছে: 
* ভয়েস অব ইউনিটি।( ২০১৭খ্রি:)

তাঁর হাতে অপ্রকাশিত ছড়াগ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ , প্রবন্ধ, নিবন্ধ এবং চিঠি ও উপন্যাস রয়েছে বেশ কিছু।

তিনি এ যাবৎ ২’শতাধিক সম্মাননা পেয়েছেন। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন ৩১টি। প্রথম সাহিত্য পুরস্কার দেশে পান ১৯৮৬খ্রি: বেগম রোকেয়া লেখিকা সংঘ থেকে। প্রথম আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড পান ২০০৪খ্রি: দ্যা গোল্ডেন ট্যাপেসট্রি এ্যাওয়ার্ড। এরপর পর্যায়ক্রমে  সাহিত্যকর্ম ও সম্মাননা অর্জন করেন। এটি আমাদের শুধু অহংকার নয় বরং এ প্রজন্মের আগামী পথ চলার জন্য একটি বিশাল অনুপ্রেরণা।

এসব সম্মাননার কয়েকটি নাম উচ্চারন না করলেই নয়। আর তা হচ্ছে- বেগম রোকেয়া লেখিকা সংঘ/মাদার তেরেসা সম্মাননা(বাংলাদেশ)/মাদার তেরেসা সম্মাননা(ভারত)/সাউথ এশিয়ান কালচার এন্ড লিটেরেচর সম্মাননা/সম্পাদকের সম্মাননা/রাইটারস ইন্টারন্যাশনাল সম্মানা (ভারত, নেপাল এবং ভুটান থেকে)/দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন/দিল্লী সেক্রেটেরিয়েট/ইসলামাবাদ বাংলা একাডেমি/করাচি প্রেসক্লাব/এফপিবি/বিপি, শতাব্দী সন্মাননা(ভারত)/আর্ন্তজাতিক লোকসাহিত্য সন্মাননা(নেপাল), লোকসাহিত্য সন্মানা ভারত/ রিজনাল স্ট্যাডিজ সন্মাননা/ লিডারশীপ সন্মাননা ওকলাহোমা ইউনিভারসিটিজ ইত্যাদি।

লেখক: শিক্ষক, কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও রোকেয়া গবেষক।