Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ভুল প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা

কালকিনিতে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই কেন্দ্র সচিবসহ ২৬ শিক্ষককে অব্যাহতি মাদারীপুর

কালকিনিতে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই কেন্দ্র সচিবসহ ২৬ শিক্ষককে অব্যাহতি

মাদারীপুরের কালকিনিতে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ও  ১০১৯ সালের নৈবেত্তিক দিয়ে পরীক্ষা হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে পরীক্ষার্থীরা। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে সড়কে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে এনে আজ রোববার ওই পরীক্ষার দুই কেন্দ্র সচিবসহ ২৬জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। 

খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তথ্য মতে, ২০১৯ইং সালের এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৬শ’ ৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে প্রায় পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের পুরানো প্রশ্নপত্র ও ১০১৯ সালে নৈর্বেত্তিক প্রশ্ন দেয়া হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই সমস্যার প্রতিবাদ করলেও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোন প্রকার সমাধান করা হয়নি। পরে পরীক্ষা শেষে সকল শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে কালকিনি-খাসেরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রায় দুই ঘন্টা পরে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের আশ্বাসে সড়কের অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। এদিকে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, পরীক্ষা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এবং ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমির প্রধান শিক্ষক বিএম হেমায়েত হোসেনসহ সকল শিক্ষককে অব্যহতি দিয়ে সেখানে পরবর্তী পরিক্ষার জন্য নতুন শিক্ষক দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমরা এই সমস্যার প্রতিবাদ করলেও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোন প্রকার সমাধান করা হয়নি। পরে পরীক্ষা শেষে আমরা সকল শিক্ষার্থীরা একত্রে হয়ে কালকিনি-খাসেরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছি।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, পরীক্ষা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি সমস্যা সমাধান হবে। শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না। তাছাড়া ওই কেন্দ্র সচিবসহ কেন্দ্রের সকল শিক্ষককে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষক দেয়া হয়েছে।