Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

দামুড়হুদায় মাঠে নেমেছেন উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা চুয়াডাঙ্গা

দামুড়হুদায়  মাঠে নেমেছেন উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় মাঠে নেমে পড়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসানী দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করছেন প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণায় নিজের দখলে নিতে শুরু করেছে দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। 

৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দামুড়হুদা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৬০৬ জন। এরমধ্যে মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১০ হাজার ৯৬ জন ও মহিলা ১ লাখ ৯ হাজার ৫১০ জন। প্রচারণার শুরুতেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদার হাউলি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা হাজী সহিদুল ইসলাম, এ্যডঃ আব্দুল কুদ্দুস, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের সহোদর আওয়ামীলীগ নেতা আলী মুনছুর বাবু, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুবলীগনেতা এ্যাডঃ আবু তালেব, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আঃ হান্নান ছোট, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও খলিলুর রহমান ভুট্টু।

এদের নাম শোনা গেলেও ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সকলের পরিচিত মুখ জনপ্রীয় নেতা সিরাজুল আলম ঝন্টু ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগ সাংকৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাউলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তিন বারের জেলার শ্রেষ্ঠ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর বীরমুক্তি যোদ্ধা দামুড়হুদার রঘুনাথপুর গ্রামের মরহুম শওকত আলি ওস্তাগারের ছেলে ক্লিন ইমেজের মানুষ সহিদুল ইসলাম। ও দামুড়হুদা যুবলীগ নেতা এ্যাডঃ আবু তালেব নিয়মিত এলাকায় গনোসংযোগ করছেন। বিএনপির নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন প্রার্থীর নাম এখন পর্যন্ত বিশেষভাবে প্রচার পাচ্ছেনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নিজেদের অবস্থান থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের ব্যাপারে কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট।

জাতীয় পার্টির সরকার থাকাকালীন উপজেলা সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর ১৯৮৫ সালে প্রথম ও ১৯৯০ সালে ২য় নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে উপজেলা সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর ২০০৮ এর ৯ম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে ফের উপজেলা সরকার পরিষদ ব্যবস্থা চালু করে। এরপর ২০০৯ সালের ৩য় এরপর ২০১৪ সালের চতুর্থ বারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার ৫ম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সে কারণে সংসদ নির্বাচনের ন্যায় দলীয় মনোনয়ন নির্বাচনী ময়দানে দখল করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সারি লম্বা হলেও দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সকলেই কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।