Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

মহালছড়ি জেলেদের দুর্বিসহ জীবন যাপন

অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জেলেদের আসন্ন পবিত্র ঈদ উৎসব খাগড়াছড়ি

অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জেলেদের আসন্ন পবিত্র ঈদ উৎসব


খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলাতে জেলে পরিবারদের মাঝে দুর্বিসহ জীবন যাপন কাটছে। জেলেদের একমাত্র পেশা ও উপার্জনের উৎস হলো মাছ ধরে বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণ করে নিত্যদিনের জীবিকা নির্বাহ করা। কিন্তু প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোণা অবমুক্ত করণ ও বংশ বৃদ্ধির জন্য গত ১৮মে থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারীভাবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএফডিসি) এর পক্ষ থেকে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের নেই কোন আয়-উপার্জন। ফলে এখন পরিবারের ভরণ-পোষণ ও সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে না পারায় দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন।  

জেলেদের দুর্বিসহ জীবন যাপনের অবস্থা জানতে মহালছড়ির সিলেটি পাড়ায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেঙ্গী নদীর পাড়ে ঘনবসতিতে গাদাগাদি করে বসবাসরত জেলেদের একেক পরিবারের ৭-১০ জন সদস্য। এদের আয়-রোজগার না থাকায় কারো কারোর চুলায় আগুন জ¦লছেনা। এভাবেই অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে দিন যাপন করছেন অনেকেই। 

সিলেটি পাড়ার নিবন্ধনকৃত জেলে মো:  সুনাম উদ্দিন ও মো: মঞ্জু মিয়া জানান, প্রতি বছর এ সময়ে তাদের কঠিন সময় পার করতে হয়। দেশের সব জায়গায় সরকার জেলেদের সাহায্য সহযোগিতা দিলেও এখানে তাদের কোন সাহায্য দেয়না। তারা আরো বলেন, প্রতি বছর মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদে পরিবারের সদস্যদের নতুন জামা-কাপড় কিনে আনন্দ করা দূরে থাক, সেমাই-চিনি কেনার সামর্থও তাদের থাকেনা। এবারও তাদের ঈদ উদযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা। 

এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ এরশাদ বিন শহীদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জেলেদের দুর্বিসহ জীবন যাপনের কথা স্বীকার করে বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় ১হাজার ৩শত ৬৮জন নিবন্ধন কৃত জেলে রয়েছে যা এখনো কাউকে সরকারীভাবে সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারীভাবে যে কোন কিছু বরাদ্দ আসলে নিবন্ধনকৃত সকল জেলেকে বিতরণ করা হবে।