ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইন চ্যুত হয়েছে । বন্ধ হয়ে গেছে খুলনার সাথে সকল প্রকার ট্রেন যোগাযোগ। এ ঘটনায় কেও হতাহত হয়নি। প্রাথমিক উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোটচাঁদপুর স্টেশন থেকে ২০০ গজের মধ্যে ফুলবাড়ি রেল গেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন।

কোটচাঁদপুর রেল স্টেশনের বুকিং এ্যাসিসটেন্ট তুহিন জানান, ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনের সিগনালের কাছে আসা মাত্র ইঞ্জিনসহ দুইটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে লাইনের দুইস্থানে এবং সিগনালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। স্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান কেন এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে তিনি বলেছেন যে দুইটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়েছে তাতে কোন যাত্রী ছিলেন না। অন্য বগির যাত্রীদের কারো ক্ষতি হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। রেল লাইনে ত্রুটি থাকার কারনে ঘটনাটি ঘটেছে এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তবে স্টেশন মাষ্টার বলেছেন খুলনা থেকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের দিকে আসছেন। তারা আসার পরে উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে অন্তত ১২ ঘন্টার বেশী সময় লাগতে পারে বলে জানান স্টেশন মাষ্টার।

কোটচাঁদপুর থানার ওসি ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন এ ঘটনায় কেও হতাহত হয়নি এবং যাত্রীরা নিরাপদে আছেন দ্রæত উদ্ধার কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে বলে জানান তিনি। এ দুর্ঘটনার পরে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনুমানিক ৪০০ যাত্রী ছিলেন ট্রেনটিতে। সড়ক পথে গন্তব্যে যাওয়ার সময় এ ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
সব শেষ জানা যায়, পিছন থেকে বগি নিয়ে নিকটস্থ সাবদালপুর এবং লাইন চ্যুত ইঞ্জিনসহ বগি কোটচাঁদপুর স্টেশনের কাছে উদ্ধার করার কথা ভাবছেন কতৃপক্ষ। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামত করার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার।

অন্য একটি সুত্র জানায়, সিগনালে লাইনের ত্রুটি থাকার কারনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কম গতি থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন কয়েক শত যাত্রী। খুলনা থেকে বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আল মামুন ঘটস্থলে আসছেন বলে জানিয়েছেন সুত্রটি।