Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

রাজাপুরে ছাত্রী শান্তাকে তুলে নেয়ার ১৪ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি ঝালকাঠি

রাজাপুরে ছাত্রী শান্তাকে তুলে নেয়ার ১৪ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি


রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী শান্তা মনিকে উঠিয়ে নেয়ার ১৪ দিন পরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শান্তার মা খাদিজা বেগম রাজাপুর থানায় অভিযোগ দিলেও রেকর্ড হয়নি। এদিকে যাদের বিরুদ্ধে খাদিজা বেগম অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেহ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। এ অবস্থায় শান্তাকে ফিরে পেতে মা খাদিজা বেগম প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে।

এ বিষয়ে খাদিজা বেগম জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন আমার মেয়ে শান্তা খালা বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে আসতে ছিল। এসময় রাজাপুরের নিজামিয়া গ্রামের এনায়েত ও তার দুই ভাগ্নে রনি এবং নয়ন শান্তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে জানতে পারি উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে। ঐ রাতেই এনায়েতের বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি রনি ও তার মামা এনায়েত আমার মেয়েকে আটকে রেখেছে। এরপর এলাকার সাবেক মেম্বর আহসান হাসান সানু আমার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে আসার কথা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বর রনি আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলেও এনায়েত ও তার অপর ভাগ্নে নয়ন এলাকায়ই আছে। এতদিন অপেক্ষার পর বাধ্য হয়ে আমি গত বৃহস্পতিবার রাজাপুর থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি আমার অভিযোগ রাখতে চায়নি। তারপরেও আমি অভিযোগটি রেখে এসেছি।

ওসি সাহেব আমার সামনে বসে রনিকে ফোন দিলে ৪ দিন পর সে শান্তাকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত আমি আমার মেয়েকে পাইনি। আমি একটি ক্লিনিকে চাকুরী করে সামান্য বেতন দিয়ে মেয়েকে পড়ালেখা করাই। রনি প্রায়ই আমার মেয়েকে স্কুলে যাবার সময় উত্যক্ত করত। এ বিষয়ে নিজামিয়া গ্রামের এলাকাবাসি জানায়, এনায়েত ও তার এই ভাগ্নেরা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এনায়েতের ভয়ে কেহ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। এনায়েতের প্রতিবেশি মো. মিলন জানান, আমি ঢাকায় থাকলেও নির্বাচন উপলক্ষে বাড়িতে গিয়ে ১০/১৫ দিন ছিলাম। তখন এনায়েতের সহযোগিতায় তার ভাগ্নে রনি ও নয়ন একটি স্কুল ছাত্রীকে এনে বাড়িতে রাখে। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, আমরা চেষ্টা করছি মেয়েটিকে উদ্ধার করার। রনির স্বজনদের চাপ দেয়া হচ্ছে মেয়েটিকে নিয়ে আসার জন্য। তবে এ বিষয়ে মেয়েটির মা কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি থানায়। পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।