কুমিল্লায় বৃদ্ধাকে হত্যা করে ডাকাতি কুমিল্লা / 
কুমিল্লার দেবীদ্বারে একদল ডাকাত দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠনকালে গৃহকত্রী মুরশিদা বেগম (৭৫)-কে মুখে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামের সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর পুরাতন বাড়িতে ওই ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় একই বাড়ির এক গৃহবধূ টিউবয়েল থেকে পানি নিতে এসে টিনশেড ঘরের পূর্বদিকের ২টি জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখতে পান। তাৎক্ষনিক মসজিদের ইমাম সহ বাড়ির লোকদের খবর দিলে তারা এসে বাড়ির মালিক বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় দেখে বিষয়টি দেবীদ্বার থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম, সাইদুর রহমান, রমজান আলী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মুরশিদা বেগম মৃত মান্নান সরকার’র স্ত্রী এবং ৪ পুত্র ও ৩ কণ্যা সন্তানের জননী। পুত্রদের মধ্যে বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং শরীফুল আলম, জহিরুল আলম ও সুমন ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৩ কন্যার মধ্যে বড় কন্যা নাজমা বেগম প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত আছেন, বাকী ২ কন্যা রীনা বেগম ও বিনা বেগম শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। মুরশিদা বেগম একাই বাড়িতে অবস্থান করে সংসার দেখাশোনা করতেন। বাড়িতে একা থাকলেও সংসারের সমস্ত কাজ কর্ম নিজেই করতেন এবং প্রতিদিন ভোরে এবং বিকেলে সুস্থ্য থাকার জন্য ৫/৬ কিলো মিটার হাটতেন। স্থানীয়দের ধারনা নিজেদের জমিজমার বার্ষিক পত্তনের সংগৃহীত টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেই ডাকাতদল এসেছিল। ডাকাদলের কাউকে চিনতে পারায় হয়তো ওই বৃদ্ধাকে গলায় ও মুখে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে যেতে পারে।
এব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) সরকার আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, নিহত একাই বাড়িতে থাকতেন, তার কোন শত্রুও ছিলনা, ডাকাতরা কি নিয়েছে বা জমি পত্তন কাদেরকে দিয়েছেন, কত টাকা পেয়েছেন অথবা ডাকাতি নাকি অন্য কোন কারন ছিল তা তদন্তের পূর্বে কিছু বলা যাবেনা। সুরতহাল রিপোর্টে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।