তিন প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার নির্দেশ আইন ও আদালত / 
ধানের শীষ প্রতীক পেতে হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রিট আবেদন করেছিলেন বিএনপির তিন প্রার্থী। পৃথক তিন রিটে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বারজজ আদালত।
সোমবার অবকাশকালীন চেম্বারজজ আদালতে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। ফলে, হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে নাদিম মোস্তফার পরিবর্তে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নওগাঁ-১ আসনে বিএনপির ছালেক চৌধুরী পরিবর্তে মোস্তাফিজুর রহমান এবং বগুড়া-৩ আসনে আব্দুল মুহিত তালুকদারের পরিবর্তে মাসুদা মমিনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জাগো নিউজকে এই তথ্য জানান।
সোমবার আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আপিল আবেদনকারী প্রার্থীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে নানা নাটকীয়তা শেষে নাদিম মোস্তফাকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়। তবে, হাইকোর্ট তার প্রার্থিতা স্থগিত করে নজরুল ইসলামকে ধানের শীষের প্রতীক দেন। আর রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাইদ চাঁদ নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফিরে পেলেও হাইকোর্টের নির্দেশে তার প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়। এর ফলে ওই আসনে বিএনপি প্রার্থী শূন্যই থাকল।
আইনজীবীরা জানান, একজনকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর দ্বিতীয় দফা প্রতীক বরাদ্দের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়, কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী একবারই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া যায়। তাই আজ নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনজীবী মনজুরুল ইসলামের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন চেম্বারজজ।