চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নৌকার প্রার্থীর গণজোয়ার নেই: মাহমুদুল চট্টগ্রাম / 
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নৌকার প্রার্থীর ‘গণজোয়ার নেই’ দাবি করে মহাজোট থেকে নিজের পক্ষে সমর্থন চেয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এই অনুরোধ রাথেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের এই প্রার্থী। গত শুক্রবার বিকালে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল বাজারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার পর তার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করেন মাহমুদুল। তার দাবি, চাম্বল বাজারে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ৩০ থেকে ৩৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মাহমুদুল বলেন, ইতিহাসগতভাবে বাঁশখালী নৌকা ও আওয়ামী লীগবিরোধী। এখান থেকে সত্তরের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়নি।
এমনকি ২০০৮ সালের নিবার্চনে যেটিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৭১ আসন পেয়েছিল, তখনও নৌকার প্রার্থী জয়ী হতে পারে নি। এখানে নৌকার গণজোয়ার নেই।
বিপরীতে লাঙ্গলের পক্ষে ‘গণজোয়ার’ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বাঁশখালীতেও মার্কা থেকেও ব্যক্তি ইমজেকে তরুণ-শিক্ষিত ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ‘ঠিকমতো’ নির্বাচন হলে নৌকার প্রার্থী এখানে জামানত হারাবে দাবি করে মাহমুদুল বলেন, গত ২০ বছর নির্বাচনের বাইরে ছিলাম। কিন্তু এলাকার সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছি। আমার সমর্থনে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
আসনটিতে নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার সম্ভাবনা নেই দাবি করে তিনি বলেন, এখনই সঠিক সময় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এ আসনে মূলত ধানের শীষ ও জামায়াতের প্রার্থীর সাথে লাঙ্গলের প্রার্থীর।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। ধানের শীষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণজেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি এর আগে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামও এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
শুক্রবার বিকালের হামলা সম্পর্কে জাতীয় পার্টি নেতা মাহমুদুল বলেন, এলাকায় আমার পক্ষে গণজোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের ‘মিনিমাম নিরপেক্ষতা’ ঐ এলাকায় নেই বলেও দাবি করেন সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টির এই নেতা।