Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

প্রার্থীশূন্য আসনে পুনঃতফসিলের দাবি বিএনপির রাজনীতি

প্রার্থীশূন্য আসনে পুনঃতফসিলের দাবি বিএনপির

   আদালতের রায়ে যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থীশূন্য হয়ে গেছে, সেসব আসনে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।


অন্যদিকে নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা জানি নির্বাচনে ইসির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন বৈধতা দেয়ার পর আদালত তা বাতিল করছেন। আমরা একজন প্রার্থীকে তো নির্বাচনী এলাকায় পরিচয় করেছি। এখন এসে আমাদের প্রার্থী বাতিল করা হলো। ইসি বৈধ ঘোষণার পর আদালত অবৈধ ঘোষণা করায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ইসির ভুলে আমরা কেন শাস্তি পাবো।'

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দু’টি প্রস্তাব করেছি। প্রথমত আমাদের যে আটটি আসনে আদালতে রায়ে প্রার্থী শূন্য হয়েছে, সেসব আসনে পুনঃতফসিল দেয়া হোক অথবা আমাদের অন্য যে বৈধ প্রার্থী ছিল তাদের মধ্য থেকে প্রার্থিতা দেয়া হোক। তবে ইসি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।


 
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে বিএনপির যেসব প্রার্থী বৈধ হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত আটটি আসনে বিএনপি জোট প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছেন আদালত।

বিএনপি প্রার্থী শূন্য আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে- জামালপুর-৪, বগুড়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, রংপুর-১, ময়মনসিংহ-৮, ঝিনাইদহ-২, জয়পুরহাট-১ ও রাজশাহী-৬।

ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আইন অনুযায়ী, গুজব ছড়ালে শাস্তি হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়ালে শাস্তি হয় কি না জানিনা। কেননা, ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো যে ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। কাজেই বিএনপির ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি গুজব।
 
বিএনপি জামায়াতের কাছ থেকে টাকা নিন, নৌকায় ভোট দিন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে টাকা নেয়ার কথা বলেন এটা আচরণ বিধির লঙ্ঘন।’

সর্বকালে সেরা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আইজিপির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘এখনো নির্বাচন শেষ হয়নি। কাজেই ভবিষ্যতে যেটা হবে, তা নিয়ে তো এখনই বলা যায় না। মাহবুব উদ্দীন খোকনকে পুলিশ নিজেই গুলি করেছে, কাজেই সেরা পরিবেশ কিভাবে বলা যায়।’