Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি চুয়াডাঙ্গা

আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদন্দীতা করছেন পাঁচ জন প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে তৃতীয় বারের মত লড়ছেন বর্তমান সংসদ হাজী আলি আজগার টগর,কেন্দ্রিীয় বিএনপির উপ-কোষাধক্ষ্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১নং যুগ্নআহবায়ক মাহামুদ হাসান খাঁন বাবু,ধানের র্শীষ, ইসলামী আন্দোলন হাসানুজ্জামান হাতপাখা,জাকের পার্টি আব্দুল লতিফ খাঁন (যুবরাজ) গোলাপফুল ও গণফ্রন্টের শেখ লালন আহাম্মেদ মাছ প্রর্তীক নিয়ে।  তবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীর লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা দুটি ইউনিয়ন, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসন। এই আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৬০জন। সোমবার প্রর্তীক বরাদ্ধের শেষদিনে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন।এমপি টগর ইতিমধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিতদের একমঞ্চে আনতে সক্ষম হয়েছে।
      
 নির্বাচনি এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি হাজি আলি আজগার টগর ইতিমধ্যে নির্বাচনি এলাকার উপজেলা, ইউনিয়ন,ওয়ার্ড,গ্রাম,মহল্লায় প্রচার প্রচারনার ভোট সংগ্রহসহ বিভিন্ন  নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন। প্রর্তীক বরাদ্ধের পরপরই এ সকল কমিটির সদস্যরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এছাড়া ও এমপি টগর নির্বাচনি এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে  সভা সমাবেশসহ পাড়া মহল্লায় গিয়ে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারন ভোটারদের কাছে শেখ হাসিনার নৌকা প্রর্তীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। মনোনয়ন বঞ্চিতরা নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয় করতে মাঠে নেমেছেন।

পিছিয়ে নেয় বিএনপির প্রার্থী মাহামুদ হাসান খাঁন বাবু তিনিও বিএনপি জামায়াতের ঘাটি হিসাবে ক্ষ্যাত আসনটি পুর্ণরুধারে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। প্রর্তীক বরাদ্ধের পরপরই তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রয়াত দুই জন সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোজাম্মেল হক ও শহিদুল ইসলামের মাজার জিয়ারত করে ব্যাপক ভাবে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। এছাড়া মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী হাজি মখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের সাথে দুরুত্ব থাকলেও দফায় দফায় বসে সমাধান করে এক কাতারে আনতে সফল হয়েছেন। বাবু খান বিএনপির প্রায় সকল নেতা কর্মি সাথে নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় সভা সমাবেশ সহ বাড়ী বাড়ী গনসংযোগ করছেন। এছাড়াও জীবননগর উপজেলা একক প্রার্থী হওয়ায় জীবননগরের  আন্দুল বাড়ীয়া গ্রামে বাড়ী হওয়ায় বাবু খান কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন। 

এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের হাসানুজ্জামান হাতপাখা,জাকের পার্টি আব্দুল লতিফ খাঁন (যুবরাজ) গোলাপ ফুল ও গণফ্রন্টের শেখ লালন আহাম্মেদ মাছ প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাদের নির্বাচনি মাঠে দেখা যাচ্ছেনা। ফলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি।