বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে : চসিক মেয়র চট্টগ্রাম / 
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উন্নত। ব্যবসায়ীরা স্বস্তির মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমরা এখন গরিব দেশ নই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। রাজনৈতিক, আদর্শিক, ধর্মীয় মতপার্থক্য সত্তে¡ও মাটি, মানুষ ও দেশকে ভালোবাসার জায়গায় ঐক্য থাকলে পরের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য, উন্নত দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। রাজনীতি স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজমান বলে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে। গতকাল শনিবার দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজারের মেরিনার্স রোডের বন্দর মাঠে মাসব্যাপী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রফতানি মেলা (বিআইটিইএফ) উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) পঞ্চমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে। সিএমসিসিআই সভাপতি, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন।
মেয়র আরো বলেন, পোষাক শিল্পে নিয়ে অনেক কথা শুনি। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীত। এই তৈরী পোষাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের উদীয়মান এই শিল্পকে নিয়ে অতীতেও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র ছিল। এখনো আছে। তবে কোনো অপতৎপরতা তৈরী পোষাক শিল্পখাতের অগ্রগতি ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না মেয়র মন্তব্য করেন। মেরিনার্স রোড়ে মেলা আয়োজনের জন্য চেম্বার কৃর্তপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন ব্যবসা -বাণিজ্যে প্রচার প্রচরনা জন্য মেলার বিকল্প নেই।
খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের গতিশীল ধারায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে ধাবিত হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন একটি গর্বিত নাম।
তিনি বলেন, দেশি শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের স্থানীয় বাজার সৃষ্টিসহ দেশি-বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে পরিচয় ও রফতানির জন্য মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হবে। বিদেশের বাজারে দেশি পণ্যের চাহিদা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে রফতানি বাণিজ্যে এ মেলা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রফতানি বাণিজ্যের অগ্রগতি হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এ বাণিজ্য মেলা চট্টগ্রামবাসীর মেলা। এ মেলার সফলতার মধ্য দিয়ে এই জনপদ এগিয়ে যাবে।
কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন বলেন, বন্দরের এ জায়গায় একটি মিউজিয়াম মনুমেন্ট হবে। সাভার স্মৃতিসৌধের চেয়ে উঁচু হবে চট্টগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ। এ ছাড়া বন্দর কতৃপক্ষ অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করছে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারনে চবক সকল সময় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্বিত।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির কনভেনার আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, সিএমসিসিআই সহ সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল,হাজী এম.এ.মালেক, প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শফি, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সুলতানা শিরিন আক্তার, দিদারুল আলম, আলহাজ্ব আহমেদুল হক, এম. সোলায়মান এফসিএমএ এবং বিএসআরএম এর প্রতিনিধি জনাব শোভন মোহাম্মদ সাহবউদ্দিন রাজ। স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং জমালখান ২১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার শৈবাল দাস সুমনও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল ও কোহিনুর শাকি। মেলায় ব্যাংক, বিমা, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, দেশি শিল্প-কারখানার স্টল, প্যাভেলিয়ন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। জনপ্রতি টিকিটের দাম ১০ টাকা।