Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

নড়াইল-২ আসনে নৌকায় মাশরাফি, ধানের শীষে ফরিদুজ্জামান নড়াইল

নড়াইল-২ আসনে নৌকায় মাশরাফি, ধানের শীষে ফরিদুজ্জামান

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নড়াইল-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পাট্রির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন-সাবেক এমপি মরহুম শরীফ খসরুজ্জামানের ছেলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসম্পাদক শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী, এনপিপির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ও চারদলীয় জোটের সাবেক এমপি বিএনপি প্রার্থী মুফতি শহীদুল ইসলাম। তবে দুদকের একটি মামলায় ১০ বছরের সাজা, বিদেশে অবস্থানসহ কাগজপত্র ঠিক না থাকায় শহীদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ধানের শীষ প্রার্থী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম অবহেলিত নড়াইলের রাস্তার উন্নয়ন করব। যে সমস্ত স্কুল-কলেজ এমপিও ভুক্ত হয়নি সেগুলি পর্যায়ক্রমে এমপিও ভুক্ত করা হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য যাতে নড়াইলের মানুষকে ঢাকা বা খুলনা যেতে না হয় সে লক্ষে একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজ নড়াইলে করর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।

আর নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা আগে থেকে চূড়ান্ত আছেন। সব মিলে নড়াইলের দু’টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। 

এদিকে নড়াইল-১ আসনে ধানের শীষ পেয়েছেন-জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। তবে গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নড়াইল-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়-অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেনের নাম। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় গণমাধ্যমেও তার (সাজ্জাদ) নামটি  উঠে আসে। এরপর ওইদিন রাতে সাজ্জাদ হোসেনের পরিবর্তে আবার বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, মাউলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান যুবদল নেতা এস কে এম সাজ্জাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।

অন্যদিকে গত ৭ ডিসেম্বর সকালের দিকে নড়াইল-১ আসনে নৌকা প্রতীকের চূড়ান্ত চিঠি পান বর্তমান সংসদ সদস্য  কবিরুল হক মুক্তি। এর আগেও গত ২৬ নভেম্বর নৌকার টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। তবে পরেরদিন ২৭ নভেম্বর  মহাজোটের শরিক জাসদের একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে এ আসনে আবার মনোনয়নের চিঠি দেয়ায় সবাইকে চূড়ান্ত প্রার্থীর অপেক্ষায় থাকতে হয়। এ নিয়ে সর্বত্র শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-সমালোচনা। এ ক্ষেত্রে ১১দিন পর চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অবসান হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। 

এসব প্রার্থীর বাইরেও নড়াইল-১ আসনে জেলা জাপার (এরশাদ) সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন ও এনপিপি’র (ছালু) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনসুরুল হক এখনও প্রার্থী হিসেবে আছেন। নড়াইল-২ আসনে-বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পাট্রির জেলা সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা জাপার সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান।