Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

বড়াইগ্রামে আনছার-ভিডিপির প্রশিক্ষকের কান্ড

মেয়ের বিয়েতে দুই ডজন আনছার সদস্যকে দিয়ে দায়িত্ব পালন! নাটোর

মেয়ের বিয়েতে দুই ডজন আনছার সদস্যকে দিয়ে দায়িত্ব পালন!

পূর্ব দিকের প্রধান সড়ক থেকে বিয়ে বাড়ি পর্যন্ত তিনটি মোড়। অপর দিকে দক্ষিণ দিকের প্রধান সড়ক থেকে বিয়ে বাড়ি পর্যন্ত রয়েছে চারটি মোড়। উভয় দিকের মূল সড়ক থেকে বিয়ে বাড়ি পর্যন্ত দূরত্ব আধা কিলোমিটার। সাতটি মোড়ে ইউনিফর্ম পড়ে সকাল ৭টা থেকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে আনছার বাহিনীর সদস্যরা। তাদের কাজ হচ্ছে বিয়েতে আসা অতিথিদের পথ চিনিয়ে দেয়া। অপরদিকে বিয়ে বাড়িতে পরিস্কারকরণ থেকে শুরু করে অতিথিদের খাওয়ানো, রান্নার কাজ, ধোয়ার কাজ করছে আনছার বাহিনীর নারী-পুরুষ সদস্যরা। সব মিলিয়ে দুই ডজন নারী-পুরুষ আনছার বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত এই বিয়েকে ঘিরে। এমনই ক্ষমতার অপব্যাবহার করলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আনছার-ভিডিপি প্রশিক্ষক মনিকা ডি কস্তা। শুক্রবার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভাস্থ কালিকাপুর নিজ বাড়িতে তার মেয়ের বিয়েতে তিনি ২৪ জন আনছার সদস্যদের দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করালেন। আর এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দায়িত্বরত আনছার বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা। 

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে সাদামাটা গেটে পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালন করছেন আনছার সদস্য রাজীব সেখ ও নবাব আলী। এর ৫’শ গজ দূরে আরেকটি মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন দুলাল হোসেন। এরপর ৬’শ গজ দূরে প্রধান সড়ক মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন আজম আলী ও আবু বক্কর। ঠিক এ ভাবে সাতটি মোড় সহ বিয়ে বাড়ির কাজে পোশাক পরিহিত আনছার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে দেখে রীতিমতো ভড়কে যাচ্ছে গ্রামবাসী। 

জানা যায়, তিনি আনছার-ভিডিপির একজন কর্মকর্তা এমন নিদর্শন দেখাতে ও নিজ গ্রামে নিজের দাপট দেখাতে আনছার সদস্যদের পোশাক পড়িয়ে তার মেয়ের বিয়েতে দায়িত্ব পালন করালেন। 

এভাবে তিনি ব্যক্তিগত প্রোগ্রামে পোশাক পরিহিত দুই ডজন আনছার সদস্যকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করাতে পারেন কিনা জানতে চাইলে মনিকা ডি কস্তা জানান, আমি ৫০ জন আনছার সদস্যকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করাবো তাতে সাংবাদিকদের কি যায় আসে। 

দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে জেলা কমাডেন্ট একেএম জিয়াউল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরণের কাজ তিনি (মনিকা ডি কস্তা) করতে পারেন না। আমি এখনই নিষেধ করছি। আপনারা দয়া করে লেখা-লেখি করবেন না।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। দেখছি কি করা যায়।