Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন রাজনীতি

মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বৃহস্পতিবার তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল করে কমিশন।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মির্জা আব্বাস আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

এর আগে সকালে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতে ইসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএমন এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে থাকা ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা-৯ আসন থেকে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে না পাঠিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে রেখে দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার মির্জা আব্বাসের করা আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা-৯ আসন থেকে চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ১ ডিসেম্বর এটি নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে ওই মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাই সম্পন্নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের রিট করা হয়।

২৮ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পর ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার সমর্থকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করা হয়। সমর্থকদের অভিযোগ, মির্জা আব্বাসের ছবি দেখেই শেষদিনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে গড়িমসি করেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তবে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় তা জমা নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঢাকা-৯ আসন থেকে মির্জা আব্বাসের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তার সমর্থকরা। তাদের দাবি, বিকেল সাড়ে ৪টায় তারা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে হাজির হন। কাগজপত্র তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু, ইচ্ছাকৃতভাবে তার মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দাবি, যারা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় বিকেল ৫টার মধ্যে অফিস কম্পাউন্ডে ছিলেন, তাদেরগুলো নেওয়া হয়েছে। মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র নিয়ে তার সমর্থকরা সময় শেষ হওয়ার পর আসায়, তা নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে গত ১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মির্জা আব্বাস।