Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

সুন্দরগঞ্জের ধনুকররা লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাইবান্ধা

সুন্দরগঞ্জের ধনুকররা লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি শীত মৌসুমে লেপ তোষক তৈরির কাজে নিয়োজিত পেশাজীবী ধনুকর কারিগরদের ব্যস্তময় দিন যাচ্ছে। 
 
শীতের আগমনি বার্তায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে শীত অনুভূতির মাত্রা। বিকাল হতে না হতেই রোদের তাপ মাত্রা কমে আসায় সন্ধ্যা না নামতেই ঘন কুয়াশাছন্ন হয়ে পড়ে জনপদ। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও চরাঞ্চলসহ সর্বত্রই বইতে শুরু করেছে শীতের বিরূপ আবহাওয়া। যার যতটুকু সামর্থ আছে সেভাবে তারা কেনাকাটা করছে শীতের পোশাক।
বিগত বছরের তুলনায় এবারের মৌসুমের শুরুতেই শীতের তীব্রতার মাত্রা বাড়তে থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যা হতেই নিজ নিজ বাসা বাড়িতে ফিরছেন। সামর্থ্যবান পরিবার গুলোর মাঝে শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষক বানানোর রীতিমত ধূম পড়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় লেপ-তোষক তৈরির একমাত্র চিহ্নিত পয়েন্ট ডাকবাংলো মোড়। উপজেলা সদর ও গ্রামগঞ্জ থেকে লেপ-তোষক ক্রয় করতে আসা নানা শ্রেণি পেশার লোকজনের পদচারণা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরির পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে পেশাজীবী ধনুকর কারিগরদের কর্মব্যস্ততা। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ভাবে লেপ-তোষক তৈরির পেশায় নিয়োজিত পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কর্ণিপাড়া মহল্লার শ্রী অর্জুন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ধনুকর শ্রী সুজন বিশ্বাস জানান, আজ কাল শীতের মৌসুম ছাড়াও কমবেশি সারা বছরই লেপ-তোষক তৈরির কাজ চলে। তবে শীতকালে লেপ-তোষক তৈরির চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায়। 
 
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে আবহাওয়া সম্পর্কে ধনুকর রুবেল মিয়া বলেন, এবারে সম্ভবত শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যবহৃত লালসালু ও অন্যান্য কাপড় এবং দেশিয় শিমুল তুলা, কার্পাস ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের গার্মেন্টেসের তুলার খুচরা মূল্য আগের মতই স্বাভাবিক বা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। স্থানীয়ভাবে ছাড়াও রংপুর, বগুড়া ও ঢাকা থেকে এসব তুলা তারা সংগ্রহ করে। বর্তমানে একটি গার্মেন্টস তুলার লেপ ৭০০ হতে ১৫০০ টাকা, তোষক ৫০০ হতে ১২০০ টাকা, জাজিম ২০০০ হতে ৩০০০ টাকা এবং কার্পাস তুলার লেপ ২০০০ হতে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একজন ধনুকর শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩০০ হতে ৭০০ টাকা। শীত কালে ধনুকরদের চাহিদা থাকলেও অন্যান্য মৌসুমে ভাটা পড়ে যায়।