Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

টুঙ্গিপাড়া থেকে নিখোঁজের পর টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কক্সবাজার

টুঙ্গিপাড়া থেকে নিখোঁজের পর টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ইয়াবা কারবারে অভিযুক্ত টেকনাফের জিয়াউর রহমান (৩৪) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাবলীগ জামায়াতের চিল্লায় থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি মসজিদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
 
 
তবে পুলিশ বলছে, রোববার ভোরে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে জিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশ। নিহত জিয়াউর রহমান কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে।
 
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রোববার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে ইয়াবার চালান পাচার হচ্ছে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল সড়কের নোয়াখালীপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ একজনকে পাওয়া যায়। তার পাশেই একটি বিদেশি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি ও ২০ হাজার ইয়াবাও পাওয়া যায়।
 
এ সময় থানা পুলিশের এসআই শরীফুল (৩৫), কনস্টেবল ছোটন দাশ (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হন। আহত পুলিশ ও গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহটি জিয়াউর রহমানের (৩৪) বলে শনাক্ত করেন স্থানীয়রা। ওসি আরও জানান, আটক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী ও একাধিক মামলার আসামি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
 
অপরদিকে নিহত জিয়াউর রহমানের পরিবারের দাবি, গত ২০ সেপ্টেম্বর জিয়া তাবলীগ জামায়াতে ৩ মাসের জন্য চিল্লায় যান। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি মসজিদের তাবলীগ জামায়াত থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তাকে গত শুক্রবার রাতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
 
জিয়াউর রহমানের মামা নুর কালাম নুরু জানান, তাবলীগের তার অন্য সাথীরা স্থানীয় থানায় গিয়ে বিষয়টি অবগত করলে জিয়াকে টেকনাফ থানা পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানায় টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ। কিন্তু টেকনাফ থানা পুলিশ এটি অস্বীকার করে আসছিল। এর একদিন পরই জিয়ার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেল।