Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

ন্যায্য মূল্য পেতে পেয়াজ আমদানি বন্ধ চায় রাজবাড়ীর কৃষকেরা রাজবাড়ী

ন্যায্য মূল্য পেতে পেয়াজ আমদানি  বন্ধ চায় রাজবাড়ীর কৃষকেরা

মসলা জাতীয় খাদ্য পন্য হিসেবে পেয়াজ অন্যতম। তাই দেশের বাজারে পেয়াজের ঘারতি পুরনের লক্ষে রাজবাড়ীর কৃষকেরা দিনদিন বারিয়েছে পেয়াজ আবাদ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পেয়াজের ভালো ফলন নিয়ে খুশি থাকলেও ভারতীয় পেয়াজ আমদানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজবাড়ীর কৃষকেরা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের চাহিদা ১৩ শতাংশ পেয়াজের যোগান দেওয়া হচ্ছে রাজবাড়ী থেকে আর পেয়াজ চাষে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে  আধুনিক পরামর্শ। রাজবাড়ীতে গত বছর ২৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ হয়েছিলো। এ বছরও রাজবাড়ীতে পেয়াজ চাষে লক্ষ মাত্রা  ধরা হয়েছে ২৮,২৫০ হেক্টর  

এ থেকে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৮ শত মেট্রিক টন পিয়াজ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন তারা সরেজমিনে, রাজবাড়ী জেলার কালুখালি উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর,কৃষœনগর, লস্করদীয়া, চররাজপুর,এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ পিয়াজের আবাদ হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের কৃষক ফরিদ শেখ জানান,এ বছর চার বিঘা জমিতে পেয়াজের আবাদ করেছি । প্রতি বিঘা জমিতে পেয়াজ আবাদ করতে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয় আর প্রতিবছর  ভারতীয় পেয়াজ আমদানির ফলে লাভ তো দুরের কথা আসল টাকা ওঠাতেই  বেগ পেতে হয়। তাই এ বছর পেয়াজের দাম নিয়ে  দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। 
কালুখালী উপজেলার  বিজয় নগর এলাকার কৃষক হাসান শেখ জানান, বর্তমানে পেয়াজের বাজার মূল্য ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি এভাবে থাকলেও কৃষকেরা লাভবান হবে। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরে পেয়াজ তোলা শুরু হবে ঠিক  তখনই  সরকার পেয়াজ আমদানি করে যে কারনে কৃষকে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে পেয়াজ বিক্রি করতে হয়, লোকসানে পরে কৃষক।

অপর এক কৃষক সোহরাব শেখ জানান, পেয়াজ রোপনে প্রচুর খরচ হয়ে  থাকে, তাছারা  কালুখালী  উপজেলার কৃষকেরা  পেয়াজ তোলার পর   সরাসরি ঢাকার শ্যাম বাজারে নিয়ে ি বক্রি করে। এতে পন্য পরিবহনেও একটা খরচ হয়। রাজবাড়ীর অনেক কৃষকই ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়ে পেয়াজ আবাদ করে। ভালো দাম না পাওয়ায় লোন পরিশোধ করতে বেগ পেতে হয় তাদের। পেয়াজের ন্যয্য মূল্য পেতে পেয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে।

এ ব্যপারে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপ-পরিচালক মোঃ  ফজলুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, রাজবাড়ীর মাটি অত্যান্ত উর্বর হওয়ায় ২৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। পেয়াজ চাষে রাজবাড়ীর কৃষকদের জমি চাষ থেকে শুরু করে  আধুনিক সকল  বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এ বছর  রাজবাড়ীতে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৮ শত মেট্রিক টন পিয়াজ উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।