Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

অপরাধী শনাক্তে চট্টগ্রাম নগরীতে বসানো হচ্ছে আইপি ক্যামেরা চট্টগ্রাম

অপরাধী শনাক্তে চট্টগ্রাম নগরীতে বসানো হচ্ছে আইপি ক্যামেরা

হাইস্পিড ইন্টারনেট সংযোগ সম্বলিত আইপি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে। পুলিশের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে পূর্বের ক্যামেরাগুলো সরিয়ে নতুন ও অত্যাধুনিক এসব ক্যামরা বসানো হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) আমেনা বেগম  বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির এসব ক্যামেরায় মানুষের ভয়েসও রেকর্ড হবে। চট্টগ্রামে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ক্যামেরা বসানোর কোনো বিকল্প নেই। এতে যে কোনো অপরাধীকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে আইপি ক্যামেরা বসানোর এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নতুন ক্যামেরাগুলোতে সাউন্ড ডিটেক্টর সিসটেম থাকবে। ক্যামেরাগুলো পুলিশ কমিশনারের দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। এজন্য বসানো হচ্ছে এলইডি টাইলস মনিটর। সিএমপি এর আগে নগরীতে সর্বমোট ১৪১টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। যার মধ্যে ১২৬টি অকার্যকর হয়ে আছে।

আমেনা বেগম জানান, ইন্টারনেট সংযোগ সম্বলিত ২২টি নতুন ক্যামেরা আপাতত বসানো হচ্ছে। অর্থের অভাব, তাই পর্যায়ক্রমে আরও ক্যামেরা বসানো হবে। ৩৪ লাখ টাকা ব্যায়ে সিএমপি কমিশনারের দপ্তরের পঞ্চম তলায় এলইডি টাইলস মনিটর বসানো হচ্ছে। যেখানে বড় পর্দায় দেখা যাবে সবকিছু।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু। কিংবা কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিটিগেট পর্যন্ত নগরীর চারপাশের সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সব সড়কের চিত্র একস্থানে বসে পর্যবেক্ষণ করবে সিএমপি। এর আগে ২০১৪ সালে সিএমপি শহরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছিল।

অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গতিবিধি খুঁজতে বেসরকারি পর্যায় থেকে অর্থ সহযোগিতা নিয়ে সিএমপি এই উদ্যোগ নেয়। তবে সে উদ্যোগ অর্থাভাবে এখন পুরোপুরিভাবে কার্যকর হচ্ছে না। তবে সময়ের সঙ্গে প্রস্তাবিত ক্যামেরাগুলো যথাস্থানে বসানো হবে। এর আগে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ১৪১ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। যার মধ্যে ১২৬টি অকেজো হয়ে পড়ায় শহরটিতে অপরাধীদের শনাক্তে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশদের। ক্যামেরাগুলো কার্যকর না থাকায় অপরাধীর অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে বলে ধারণা অনেকের।

অপরাধ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নগরীতে হত্যাকান্ড, গাড়ি চুরি, ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের অধিকাংশই ঘটায় নগরীর বাইরের দুর্বৃত্তরা। তারা নগরীতে এসে অপরাধ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ২০১৪ সালে সিসি ক্যামেরা বসানোর পর গাড়ির নম্বরসহ সার্বিক চিত্র পর্যালোচনা করে অপরাধের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যেত। নগরীতে সংঘটিত বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন ঘটনা উদঘাটন হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই। কিন্তু ক্যামেরাগুলো স্থাপনের পর বেশিরভাগ ক্যামেরা অকেজো ও চুরি হয়ে যায়। এতে পুলিশের পক্ষে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে উঠে। তবে নতুন করে আইপি ক্যামেরা বসানো হলে পুলিশের কাজের অগ্রগতি হবে বলে ধারণা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।