Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

বেনাপোল ও শার্শায় আগাম খেঁজুর গাছ কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা যশোর

বেনাপোল ও শার্শায় আগাম খেঁজুর গাছ কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল (যশোর) : যশোরের যশ খেজুরের রস এই প্রবাদে কয়েকদিনের মধ্যে বেনাপোল শার্শাসহ যশোরের প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড়-পাটালী তৈরির উৎসব। বাড়ীতে বাড়ীতে খেঁজুুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েসসহ নাম না জানা হরেক রকমের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম। তাই মৌসুম শুরু হতে না হতেই এর চাহিদা মিটাতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে খেঁজুর গাছ কাটা শুরু করেছে। ধারালো দা (গাছিদা) দিয়ে খেজুর গাছের সোনালী অংশ বের করে, যাকে বলে চাঁচ দেওয়া। তার সপ্তাহ খানেক পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস সংগ্রহের কাজ।

প্রভাতে শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশার চাঁদর জানান দিচ্ছে শীতের আগাম আগমন বার্তা। এই মৌসুমে খেঁজুরের রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে খেজুর রসের মিষ্টিও তত বাড়বে। শীতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দিনের শুরুতে খেঁজুরের রস, সন্ধ্যা রস ও সুস্বাদু গুড়-পাটালী। সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরীতে আবহমান কাল থেকে খেঁজুর গুড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরিতে ব্যাপক নাম থাকায় খেঁজুরের গুড়-পাটালীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে অন্যান্য জেলা ও দেশের বাইরেও। দেশের প্রাচীন জনপদ যশোর জেলার খেজুরের রস গুড়-পাটালীর জন্য বিখ্যাত হওয়ায় গর্ববোধ করেন অনেকেই। যশোরের এই খেঁজুরের রস গৌরব আর ঐতিহ্যের জন্য গাছিরা আগাম গাছ কাটে পাটালী ও রস বেশী দামে বিক্রি করার জন্য। আগাম গাছ তোলায় রস গুড়ের দাম ভাল ও বেশী হয়। যার এক একটি গাছ তুলতে খরচ হয় গড়ে প্রায় ৬০/৭০ টাকা। 

এবছর সঠিক সময়ে শীতের আগমণ হওয়াতে শার্শা উপজেলাতে বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম খেঁজুর গাছ ঝোড়া শুরু হয়েছে। এখান থেকে চাষীরা রস আহরণ করবে। শার্শা উপজেলাতে প্রায় ৫০হাজার ৫০০টি রস আহরণকারী খেঁজুর গাছ রয়েছে। সেখান থেকে কৃষকরা খেজুরের রস সংগ্রহ করবে এবং তা থেকে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি পণ্য তৈরি করবে এবং যা নিকটস্থ বাজারে বিক্রি করে তারা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন।