Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

আতংক কাটেনি উপকুলবাসির

মোরেলগঞ্জে সিডরের ১১ বছর পরও গড়ে উঠেনি দূর্যোগ মোকাবেলার অবকাঠামো বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে সিডরের ১১ বছর পরও গড়ে উঠেনি দূর্যোগ মোকাবেলার অবকাঠামো


        
  আজ ভয়াল ১৫ নভেম্বর। ২০০৭ এই দিনে প্রলয়ংকারী সুপার সাইক্লোন সিডর আছড়ে পড়ে বাগেরহাটের উপকুলের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জসহ জেলার ৯টি উপজেলায়। ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে ১০-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহটের জনপদের হাজার হাজার বাড়ি ঘর, পাশাপাশি মারা যায় নারী পুরুষ শিশু। পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারের অভাবে সিডরে এ অঞ্চলে প্রাণহানির পরিমান বেশি ঘটেছিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
 
  সিডর-আইলার ১১ বছর পরেও বাগেরহাটে দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত ঘূর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাধ গড়ে উঠেনি। যার ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের আতংক কাটেনি উপকুলবাসির। দুর্যোগকালিন ও পরবর্তী করনীয় বিষয় প্রশিক্ষন নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হলেও অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে হতাশায় উপকুলবাসি। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও দ্রæত টেকসই বেড়িবাধ নির্মানের দাবী মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা এলাকাবাসীর। 

   সিডরের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও দুর্গত এলাকাগুলোতে নির্মান হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাধ। অথচ এখনও প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে শরনখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন,মোরেলগঞ্জ উপজেলার পেীরসভা সহ ষোলটি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকাবাসি। বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩৪ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। তবে বিদ্যমান জনসংখ্যা অনুযায়ী আরও ৩ শতাধিক সাইক্লোন শেল্টারের প্রয়োজন রযেছে।

   বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় দৃর্যোগ বিষয়ে সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখন যেকোন সময় দূর্যোগের বিষয়ে অবহিত করলে মানুষজনকে সরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সাইক্লোন শেল্টার পর্যাপ্ত নয়, আরও হলে ভাল হয়। এখনও কিছু কিছু কাজ চলছে। এব্যাপারে সরকারের আরও পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাগেরহাটের ৯ টি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩৪ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেড়িবাধ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর