Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ১০২ বছর পর সরকারীকরন রাজবাড়ী

পাংশা  জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ১০২ বছর পর সরকারীকরন

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা শহরের  প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত পাংশা  জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১০২ বছর পর সরকারীকরন হলেও বর্তমানে রয়েছে নানা সংকট। জানাগেছে, মহারানী ভিক্টোরিয়া তনয় স¤্রাট পঞ্চম জর্জ এর নামানুসারে ১৯১৬ সালের ৩রা জানুয়ারী স্কুলটি স্থাপিত হয়। ১৯১৯ সালে কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রথম এই প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক স্বৃীকৃতি প্রদান করে। পাংশা এলাকার সচেতন জনসাধারন এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বালিয়াকান্দি এলাকার পদমদীর জমিদার মীর মহম্মদ আলী  এবং জমিদার শ্যামলাল কুন্ড ও অন্যান্যদের আর্থিক সহযোগিতায় স্থাপিত হয়। ১৯৩৯ সাল  পর্যন্ত   এই বিদ্যালয়টি ইংরেজি মিডিয়াম উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপর ১৯৪০ সাল থেকে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাদান শুরু হয়। বর্তমানে এটিই পাংশা উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীনতম ও ঐতিয্যবাহি উচ্চ বিদ্যালয়।

পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১১৮৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।   বিদ্যালয়টি থেকে গত ২০১৫ সালের  জেএসসি পরীক্ষা ১৬৭ জন  পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৫৭ জন পাশ করে এর মধ্যে ৩৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। ২০১৬  সালের জেএসসি পরীক্ষা ১৭৯ জন  পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৭৯ জন পাশ করে এর মধ্যে ৫১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষা ১৭৯ জন  পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৫১ জন পাশ করে এর মধ্যে ৩৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়।

অপরদিকে, এসএসসি পরীক্ষায় গত ২০১৬ সালে ১১০  জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১০১  জন পাশ করে এর মধ্যে ৭ জন জিপিএ-৫ পায়। ২০১৭ সালে ১০৭  জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১০৬  জন পাশ করে এর মধ্যে ৩১ জন জিপিএ-৫ পায়। ২০১৮  সালে ১৩৬  জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১০৯  জন পাশ করে এর মধ্যে ৭ জন জিপিএ-৫ পায়। 

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক  মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে সাধারন শাখার জন্য ১৭ জন,  ভোকেশনালের জন্য ৯ জন শিক্ষক রয়েছে। এছারাও সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে ১ জন, কম্পিউটার ডেমোনেষ্টটেটর ১ জন, কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে ১ জন রয়েছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে প্রায় দেড় বছর যাবৎ।

কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ আকমল হোসেন বলেন, আমি  এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে কর্মরত আছি। পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে  তিনটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এছারাও  রয়েছে  জেলার মধ্যে একমাত্র স্মার্ট বোর্ড। 

পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদা খাতুন বলেন, এই বিদ্যালয়ের  ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকীম যার অক্লান্ত চেষ্টার ফলে চলতি বছরের ২১ মে বিদ্যালয়টি সরকারীকরন হয়েছে। এই বিদ্যালয়টি শুরু থেকেই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় কিন্তুু বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি ওয়াল নেই। হরহামেশায় বহিরাগতরা   বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এছারাও রয়েছে শ্রেনী কক্ষ সংকট ও  টয়লেটের সংকট। এসকল  সংকট কেটে  উঠতে পারলে  বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান আরো ভালো হবে।